গুরমার মধুনাশিনী নামেও পরিচিত। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ঔষধ। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। এর সেবন মিষ্টি খাওয়ার প্রতি আসক্তি কমায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আজকাল দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে ডায়াবেটিসের দিক থেকে ভারত বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে। একবার কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, তা সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা কঠিন হয়ে পড়ে। আপনার খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সতর্ক থাকা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি আপনার চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক কিছু কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। আয়ুর্বেদে এমন অনেক ভেষজ আছে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে একটি হল গুডমার উদ্ভিদ। এটিকে মধুনাশিনীও বলা হয়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অমৃতের মতো। গুরমারের উপকারিতা কী কী তা জেনে নিন।
গুরমার কী? (গুডমার কী)
‘গুডমার’ শ্রীলঙ্কার মধ্য ও দক্ষিণ ভারতে পাওয়া যায়। এটি লতা আকারে জন্মায়। ‘গুডমার’ একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ, যাকে ‘মধুনাশিনী’ বলা হয়। যখন আপনি এর পাতা খাবেন, তখন অনেকক্ষণ ধরে মিষ্টি জিনিসের স্বাদ অনুভব করবে না। গুড় বা চিনির মিষ্টতা চলে যায়।
গুরমার ডায়াবেটিসের জন্য একটি ঔষধ
ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য 'গুরমার' উদ্ভিদ খুবই কার্যকর বলে মনে করা হয়। গুড়মার শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, গুরমার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এতে উপস্থিত জিমনেমিক অ্যাসিড শরীরে গ্লুকোজের শোষণ কমিয়ে দেয়। এতে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও, এটি ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
গুডমার পাতা চিবিয়ে খেলে মুখে মিষ্টির স্বাদ অনুভূত হয় না, যার কারণে মিষ্টি খাওয়ার প্রতি আসক্তিও কমে যায়। এটি ওজন কমাতেও সহায়ক। বিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত করে, যা শরীর থেকে চর্বি কমায়।
কোলেস্টেরল এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরমার কার্যকর বলে মনে করা হয়। এটি কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণ করে। এটি হৃদরোগ সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। আপনি গুরমার পাউডারও ব্যবহার করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment