উত্তর প্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে হোলি মিলন অনুষ্ঠান নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এই বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে করণী সেনা। তারা আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে হোলি উদযাপন করবে।
করণী সেনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। এতে, এএমইউ প্রশাসনের বিরুদ্ধে হিন্দু শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে একটি চিঠিও লিখেছেন।
শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে চিঠি লিখেছে
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অখিল কৌশল বলেন, আমরা ৯ মার্চ 'হোলি মিলন' অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চাই, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর অনুমতি দিচ্ছে না। হোলি উদযাপনের অনুমতি চেয়ে ২৫শে ফেব্রুয়ারি ভিসির কাছে একটি চিঠি লেখা হয়েছিল কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা সেই অনুমতি পাইনি।
প্রক্টর বললেন কেন অনুমতি দেওয়া হয়নি
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ) প্রক্টর অধ্যাপক ওয়াসিম আলী বলেন, "২৬শে ফেব্রুয়ারি পাঁচজন শিক্ষার্থী উপাচার্যকে সম্বোধন করে একটি চিঠি আমার কাছে জমা দেন। এতে ৯ মার্চ হোলি উদযাপনের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি, তাই অনুমতি দেওয়া হয়নি।
অধ্যাপক ওয়াসিম আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ বিভাগ এবং হোস্টেলে হোলি উদযাপন করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার পক্ষে নয়।
করণী সেনার সতর্কীকরণ
অল ইন্ডিয়া করণী সেনার সভাপতি যানেন্দ্র সিং চৌহান বলেছেন যে কিছু এএমইউ ছাত্র 'হোলি মিলন' উদযাপনের জন্য এএমইউ প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এএমইউতে হিন্দু ছাত্রদের প্রতি এই ধরনের দ্বিমুখী নীতি অনুসরণ করা হয়। আজ আমরা প্রধানমন্ত্রীর নামে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। যদি অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা ১০ মার্চ এএমইউতে প্রবেশ করব এবং হোলি উদযাপন করব।
No comments:
Post a Comment