মণিশঙ্কর আইয়ার ইস্যুতে আবারও কংগ্রেস বিপর্যস্ত। প্রবীণ নেতার একটি সাক্ষাৎকার তাকে বিতর্কে ফেলে। এবার তাঁর বক্তব্য কোনও বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে নয়, বরং তাঁর নিজের দলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে। আইয়ারের মতে, রাজীব, যাকে কংগ্রেস দেশের 'তথ্য বিপ্লবের জনক' বলে অভিহিত করে, তিনি ততটা যোগ্য ছিলেন না। আইয়ার তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন যে তিনি অবাক হন যে এমন একজন ব্যক্তিকে কীভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী করা হল।
‘রাজীব গান্ধী দুবার ব্যর্থ হয়েছিলেন’
বুধবার বিজেপি নেতা অমিত মালব্য তার অফিসিয়াল 'এক্স' হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এতে মণি শঙ্কর আইয়ারকে বলতে দেখা গেছে যে রাজীব গান্ধী পড়াশোনায় ভালো ছিলেন না। আইয়ার বলেন, “রাজীব গান্ধী কেমব্রিজে ফেল করেছিলেন, যেখানে পাস করা খুব সহজ বলে মনে করা হয়। এরপর সে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে ভর্তি হয়, কিন্তু সেখানেও ফেল করে।
অমিত মালব্য এই ভিডিওটি দিয়ে লিখেছেন, “রাজীব গান্ধী শিক্ষাগতভাবে সংগ্রাম করছিলেন। তিনি কেমব্রিজ এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ উভয় ক্ষেত্রেই ফেল করেছিলেন। তবুও তাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল। পর্দা সরানো হোক।”
আইয়ারের বক্তব্য এবং কংগ্রেসের সমস্যা
আইয়ার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে রাজীব গান্ধী একজন বিমানের পাইলট ছিলেন, কিন্তু তার শিক্ষা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। তিনি বলেন: “কেমব্রিজে ফেল করা কঠিন কারণ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাস করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে। তবুও, রাজীব গান্ধী ব্যর্থ হন। এরপর তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে যান, কিন্তু সেখানেও ফেল করেন।
আইয়ারের এই বক্তব্যের কারণে কংগ্রেস অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। এর আগেও, আইয়ার তার বক্তব্য নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন।
১৯৬২ সালের যুদ্ধের উপরও বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়া হয়েছে
মণিশঙ্কর আইয়ারের বক্তব্য নিয়ে হৈচৈ এই প্রথম নয়। এর আগে, তিনি ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধ সম্পর্কেও একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। একটি বই অনুষ্ঠানে তিনি ১৯৬২ সালের যুদ্ধকে "কথিত চীনা আক্রমণ" বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেন, "১৯৬২ সালের অক্টোবরে, চীন ভারত আক্রমণ করেছিল বলে অভিযোগ।" ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবা সম্পর্কিত বই 'নেহেরুর প্রথম নিয়োগকারী: স্বাধীন ভারতের পররাষ্ট্র নীতি বিল্ট'-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
মণিশঙ্কর আইয়ারের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন কংগ্রেস ইতিমধ্যেই অনেক রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। তার বক্তব্য দলের ভাবমূর্তিকে আরও প্রভাবিত করতে পারে।
No comments:
Post a Comment