মহারাষ্ট্রের রাজনীতি আজকাল উত্তপ্ত। আইনসভার বাজেট অধিবেশন চলছে এবং বিরোধীরা সরকারকে আক্রমণ করছে। সন্তোষ দেশমুখ হত্যা মামলা থেকে শুরু করে লাডলি বেহান যোজনা পর্যন্ত অনেক বিষয়েই প্রশ্ন উঠছে। এদিকে, নাগপুরের সহিংসতার ফলে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। কিন্তু এত কিছুর মাঝেও সবার মনে একটা প্রশ্ন জাগছে, বিজেপি কি নরেন্দ্র মোদীর বয়স নিয়ে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেবে? ৭৫ বছরের দ্বারপ্রান্তে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। আর এই আলোচনা নতুন মোড় নেয় যখন ফড়নবিশ একটি মাস্টার প্ল্যানের কথা উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি লোকমত সংবাদ সংস্থার এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে নরেন্দ্র মোদীর প্রতি তাঁর বিশ্বাস অক্ষুণ্ণ রয়েছে। তিনি বলেন, ২০২৯ সালেও মোদি দেশের দায়িত্ব নেবেন। এই বিবৃতি কেবল মোদীর দৃষ্টিতে তার দৃঢ় অবস্থানকেই প্রতিফলিত করে না, বরং তার অবসর নিয়ে দলের ভেতরে চলমান জল্পনা-কল্পনারও উত্তর।
ফড়নবিসের এই দাবি এমন এক সময়ে এসেছে যখন মহারাষ্ট্রে তার সরকার বিরোধীদের তীব্র আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে। তবুও, তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তিনি দিল্লি আসনের দিকে নজর দিচ্ছেন না। অনেকেই এটা শুনে অবাক হচ্ছেন, এটা কি শুধুই একটি বক্তব্য নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে কোন বড় কৌশল?
নরেন্দ্র মোদীর বয়স এবং তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজেপিতে এর আগেও বিতর্ক হয়েছে। দলে একটি অলিখিত নিয়ম রয়েছে যে নেতারা ৭৫ বছর বয়সের পরে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু মোদীর ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে কি না, এই প্রশ্নটি এখনও অমীমাংসিত। ফড়নবিসের বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে দলটি দীর্ঘদিন ধরে তাদের সবচেয়ে বড় মুখকে মাঠে দেখতে চায়। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফড়নবিসের অভিজ্ঞতা এবং তার কৌশলগত চিন্তাভাবনা তাকে বিজেপির অন্যতম বিশ্বস্ত নেতা করে তোলে। তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে মোদীর নেতৃত্বের উপর তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে এবং সম্ভবত এই কারণেই তিনি দিল্লির রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেছেন।
No comments:
Post a Comment