পদার্থবিদ্যায় স্নাতক, প্রথম চাকরি ১৯৯৮ সালে, সুনিতা উইলিয়ামস কীভাবে নাসায় পৌঁছালেন? - Breaking Bangla

Breaking

Post Top Ad

Friday, March 21, 2025

পদার্থবিদ্যায় স্নাতক, প্রথম চাকরি ১৯৯৮ সালে, সুনিতা উইলিয়ামস কীভাবে নাসায় পৌঁছালেন?

 


সুনিতা উইলিয়ামস তার সঙ্গী বুচ উইলমোরের সাথে ৯ মাস মহাকাশে থাকার পর এখন পৃথিবীতে ফিরেছেন।  তারা এলন মাস্কের স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে চড়ে সমুদ্রে অবতরণ করেছেন।  এই ঘটনার পর থেকে সুনিতা উইলিয়ামস খবরে রয়েছেন।  মানুষ তার সম্পর্কে ছোট-বড় প্রতিটি বিষয় জানতে আগ্রহী।  নীচে আমরা আপনাকে সুনিতা উইলিয়ামস এবং নাসার সাথে তার যাত্রা সম্পর্কে বলব।


সুনিতা উইলিয়ামস এর সম্পর্কিত

সুনিতার জন্ম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সালে আমেরিকার ক্লিভল্যান্ডে।  সুনিতা তার প্রাথমিক শিক্ষা নিডহ্যাম হাই স্কুল থেকে সম্পন্ন করেন।  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহের কারণে, সুনিতা উইলিয়ামস ১৯৮৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌ একাডেমি থেকে পদার্থবিদ্যায় বি.এসসি. সম্পন্ন করেন।  আমি করেছিলাম।  এরপর, তিনি ১৯৯৫ সালে ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে এভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

সুনিতা নৌবাহিনীতে কাজ করতেন

১৯৮৭ সালে, সুনিতা মার্কিন নৌবাহিনীতে যোগ দেন।  এখানে তাকে হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।  প্রশিক্ষণের পর, সুনিতাকে ইউএসএস সাইপানে মোতায়েন করা হয়।  ১৯৮৯ সালে তিনি নৌ বিমানচালকের মর্যাদা লাভ করেন।  আপনাদের বলি, সুনীতা ৩০টিরও বেশি বিমানে ৩০০০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে উড়েছিলেন। 
সুনিতা ১৯৯৮ সালে নাসায় প্রবেশ করেন।

১৯৯৮ সালের জুন মাসে, সুনিতা উইলিয়ামস নাসার মহাকাশচারী প্রোগ্রামে ভর্তি হন।  এর পরে, তিনি মহাকাশে অনেক বড় মিশন সম্পন্ন করেন এবং রেকর্ড সময় ধরে মহাকাশে অবস্থানকারী মহিলা মহাকাশচারী হয়ে ওঠেন।  তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) দুবার দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন এবং সেখানে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা এবং মহাকাশে পদযাত্রা সম্পন্ন করেছেন।

নাসা কেন সুনিতা উইলিয়ামসকে বেছে নিল?

নাসায় মহাকাশচারী হওয়া সহজ নয়।  সুনীতাকে বেছে নেওয়ার পিছনে অনেক কারণ ছিল।  প্রথমত, সুনীতা নৌবাহিনীতে পাইলট থাকাকালীন অনেক বড় মিশন সম্পন্ন করেছিলেন।  আর তার মাস্টার্স ডিগ্রি তাকে নাসার জন্য একজন নিখুঁত প্রার্থী করে তুলেছিল।  মহাকাশ অভিযানের জন্যও প্রচুর শারীরিক ও মানসিক শক্তির প্রয়োজন হয়, যার জন্য তিনি অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।  নাসায় ভর্তি হওয়ার পর তিনি রোবোটিক্স শাখায় কাজ করেন।  তিনি নাসার NEEMO2 মিশনেও অংশগ্রহণ করেছিলেন, যেখানে তিনি নয় দিন ধরে জলের নিচে অ্যাকোয়ারিয়াস আবাসস্থলে বসবাস এবং গবেষণা পরিচালনা করেছিলেন। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad