দইয়ে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং প্রোবায়োটিকের মতো পুষ্টি উপাদান থাকে, যা শরীরের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ প্রমাণিত হয়। আপনি এটি সহজেই বাড়িতে ফ্রিজে রাখতে পারেন অথবা বাজার থেকে কিনেও খেতে পারেন। প্রয়োজনে সঠিক সময়ে এটি সেবন করুন। এমন পরিস্থিতিতে, যদি আপনি সকালের নাস্তায় নিয়মিত এক বাটি দই খান, তাহলে আপনি এই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলি থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।
পাচনতন্ত্র উন্নত করে
দইয়ে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। দই খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হাড়কে শক্তিশালী করে
দইয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি থাকে, যা হাড় ও দাঁতকে শক্তিশালী করে। নিয়মিত দই খেলে হাড় মজবুত হয় এবং অস্টিওপোরোসিস এবং ফ্র্যাকচারের মতো হাড় সম্পর্কিত সমস্যার ঝুঁকি কমে।
ওজন কমাতে সহায়ক
দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখে। এর অর্থ হল আপনার ঘন ঘন ক্ষুধা লাগে না এবং আপনার ক্যালোরি গ্রহণ কমে যায়। দইয়ে উপস্থিত ক্যালসিয়াম চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
উদ্বেগে উপকারী
দইয়ে উপস্থিত ভিটামিন বি১২ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। দই খেলে শরীরে সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা মেজাজ ভালো রাখে এবং মানসিক অবস্থারও উন্নতি করে।
রক্তচাপ-কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে
নিয়মিত দই খাওয়া হৃদপিণ্ডের জন্যও উপকারী। এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, দইয়ে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
No comments:
Post a Comment