বেশিরভাগ মানুষ মুগ ডালের চিলা খেতে পছন্দ করেন। এই চিলা শুধু স্বাদেই অসাধারণ নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির ভাণ্ডার রয়েছে, যা শরীরকে রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক হতে পারে। এই সময়ে আবহাওয়া দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এই ঋতুতে, মানুষের পেটের স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত এবং মুগ ডাল চিলা এর জন্য একটি নিখুঁত বিকল্প হতে পারে। এই চিলা কেবল সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ। এটি খেলে আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে।
পুষ্টিবিদ ডাঃ স্বাতী সিং-এর মতে, মুগ ডাল চিলা প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ফাইবারের মতো খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। সকালে নাস্তার সময় এবং ওয়ার্কআউটের পরে মুগ ডাল চিলা খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। ওয়ার্কআউটের পরে চিলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া প্রোটিন পেশী শক্তিশালী করতে খুবই সহায়ক। এটি শরীরকে শক্তিশালী করে এবং বৃদ্ধি আরও ভালোভাবে ঘটে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে হালকা কিছু খেতে চাইলেও, মুগ ডালের চিলা তৈরি করে খেতে পারেন। মুগ ডাল খুবই হালকা, যা পাচনতন্ত্রের জন্য ভালো। এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা দূর হয়। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে পেট দীর্ঘ সময় ধরে ভরা থাকে এবং তাড়াতাড়ি ক্ষুধা লাগে না। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। মুগ ডালের চিলা খেলে শরীর শক্তিশালী থাকে। মুগ ডাল চিলায় প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট এবং খনিজ পদার্থ দীর্ঘ সময় ধরে শরীরকে শক্তি সরবরাহ করতে কাজ করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, মুগ ডাল চিলায় কম চর্বি থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে। যারা ডায়াবেটিস রোগী, হজমশক্তি কম অথবা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য মুগ ডাল দিয়ে তৈরি চিলা একটি চমৎকার বিকল্প। যদি আপনি সকালে মুগ ডালের চিলা খান, তাহলে আপনি সারা দিন সতেজ এবং উদ্যমী বোধ করবেন। এই চিলা খেলে হৃদপিণ্ড এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যও ভালো হয়। যখনই সুযোগ পাবেন, মুগ ডাল চিলা বানিয়ে খান।
No comments:
Post a Comment