ঢাকায় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ধ্বংসের ভারতের নিন্দার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘটনাটিকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বর্ণনা করেছে এবং বলেছে যে ভারতের মন্তব্য অপ্রত্যাশিত এবং অনুপযুক্ত।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ঢাকার ৩২ ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দিলে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। সে এটাকে খারাপভাবে নষ্ট করে দিয়েছে। এই বাড়িটি ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক, যেখান থেকে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। পরে এটিকে একটি স্মৃতিস্তম্ভে রূপান্তরিত করা হয়।
ভারতের নিন্দা এবং বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া
ভারত এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং এটিকে "বর্বরতার কাজ" বলে অভিহিত করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছিলেন, "শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক ছিল এবং এর ধ্বংস দুঃখজনক।"
তবে, বাংলাদেশ সরকার ভারতের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে এটিকে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অভিহিত করেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, "ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত এবং এটি অনুপযুক্ত। আমরা আশা করি অন্যান্য দেশও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।"
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উপর প্রভাব
শেখ হাসিনার ভাষণের উপর ভারতের মন্তব্যে বাংলাদেশ সরকার এর আগেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সতর্ক করে দিয়েছিল যে এই ধরনের মন্তব্য ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমান বিতর্কের মধ্যে, দুই দেশের সম্পর্কের উপর এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা বেড়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের জন্য এই বিষয়টি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি বাংলাদেশের জাতীয় চেতনা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। এর ধ্বংসের ঘটনাটি কেবল বাংলাদেশের মধ্যেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ভারত প্রকাশ্যে এই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে। তবে, বাংলাদেশ সরকার বিশ্বাস করে যে এটি সম্পূর্ণরূপে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এতে বাইরের দেশগুলির হস্তক্ষেপ অনুচিত।
No comments:
Post a Comment