প্রয়াগরাজে আয়োজিত মহাকুম্ভের অমৃত স্নান উৎসব, বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে, কাশীর বিখ্যাত গল্পকার দীনেশানন্দ বিশ্বাসের নগরীতে পৌঁছেছিলেন। কুম্ভের দিব্যতা ও মহিমা দেখার পর তিনি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন এবং এটিকে একটি অনন্য আধ্যাত্মিক ঘটনা বলে অভিহিত করেন।
দীনেশানন্দ বললেন যে তিনি কাশী থেকে এসেছেন এবং সনাতন ধর্মের একজন প্রকৃত ভক্ত। ধর্ম তার কর্ম এবং তিনি এটিকে বিশ্বব্যাপী নিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি এই অনুপ্রেরণা এবং দায়িত্ব পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে, যারা বিশ্বস্তরে সনাতন সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী ভারতীয় সংস্কৃতির নবজাগরণের প্রতীক হয়ে উঠেছেন এবং তাদের প্রচেষ্টার ফলে মহাকুম্ভের মতো অনুষ্ঠানগুলি আরও চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠছে।
মহাকুম্ভের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন যে, এই কুম্ভ ১৪৪ বছর পর এসেছে, যেখানে বিশ্বাস ও ভক্তির এক ঐশ্বরিক সঙ্গম রয়েছে। তিনি এটিকে "মহা ডিজিটাল মহাকুম্ভ" হিসেবে বর্ণনা করে বলেন যে এই অনুষ্ঠানটি কেবল আধ্যাত্মিক জাগরণের প্রতীকই নয় বরং আধুনিক ভারতের উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নেরও উদাহরণ। তাঁর মতে, প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত এই মহাকুম্ভ সমগ্র বিশ্বে প্রভাব ফেলছে এবং এটি ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রমাণ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য একটি বিশেষ বার্তাও দিয়েছেন দীনেশানন্দ। তিনি বলেন, মোদীর ইচ্ছাশক্তি, দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিষ্ঠা সমগ্র বিশ্বের মানবকল্যাণের জন্য কাজ করছে, যার তিনি প্রশংসা করেন। তিনি মহাকুম্ভের জাঁকজমক এবং এর সফল আয়োজনের জন্য সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং এটিকে সনাতন সংস্কৃতির প্রসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, কুম্ভ কেবল বিশ্বাসের সঙ্গমস্থলই নয়, এটি সনাতন ধর্মের মহত্ত্বেরও প্রতীক। এই ধরনের অনুষ্ঠান ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে শক্তিশালী করে, যা ভবিষ্যত প্রজন্মকেও উপকৃত করবে।
No comments:
Post a Comment