বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেছেন যে সেনাবাহিনী দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করবে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করছে এবং বাংলাদেশ একটি নির্বাচিত সরকার না পাওয়া পর্যন্ত এই ভূমিকায় থাকবে। সোমবার সাভার সেনানিবাসে এক গুলিবর্ষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জামান এ কথা বলেন। জামানের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেক ইস্যুতে ঘেরা। আইনশৃঙ্খলাও এক্ষেত্রে একটি সমস্যা।
ভারতও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কয়েকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও অন্তর্ভুক্ত। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শনিবার বাংলাদেশকে সতর্ক করে বলেছেন যে, ঢাকা যদি দিল্লির সাথে সুসম্পর্ক রাখতে চায় তবে তাদের তা বাস্তবায়ন করা উচিত। বারবার সবকিছুর জন্য ভারতকে দোষারোপ করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের বিষয়ে ভারত ঢাকাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছে।
আমাদের প্রচেষ্টা হলো পরিস্থিতিকে আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা: সেনাপ্রধান
ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুসারে, সেনাপ্রধান জামান জোর দিয়ে বলেছেন যে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা সেনাবাহিনীর কর্তব্য। তিনি বলেন, 'আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম যে এই কাজটি শীঘ্রই সম্পন্ন হবে এবং আমরা সেনানিবাসে ফিরে যাব কিন্তু জিনিসগুলি সময় নিচ্ছে।' আমরা অনেক দিন ধরে কাজ করছি। এই সময়ে, আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং পূর্ণ নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সাথে আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সেনাবাহিনীর শক্তি প্রয়োগের বিষয়ে জামান বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর শক্তি প্রয়োগ এড়িয়ে চলা উচিত। শুধুমাত্র যখন একেবারে প্রয়োজন তখনই বলপ্রয়োগ করা উচিত। তিনি বলেন যে এই মুহূর্তে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে বলে মনে হচ্ছে। তবে, দেশটি সরকার না পাওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী তার কাজ চালিয়ে যাবে। গত বছর শেখ হাসিনার অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাবাহিনী বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে জামার বক্তব্যকে ইউনূসের ডানা কাটার প্রচেষ্টা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাপ্রধান সাম্প্রতিক অতীতে দেশের রাজনীতি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কথা বলে আসছেন। প্রথমালোকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন যে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দেশে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকার থাকার উপরও জোর দেন।
No comments:
Post a Comment