ভারত-চীন সম্পর্ক বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। ভারতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং এখানে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় এই কথা বলেন।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার চলমান প্রচেষ্টাকে একটি নতুন সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন পদক্ষেপ নেওয়ারও পরামর্শ দেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক ভারত-চীন আলোচনাকে সফল বলে অভিহিত করেছেন
তিনি গত কয়েক মাস ধরে ভারত ও চীনের বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এবং চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনাকে সফল বলে বর্ণনা করেছেন। ফেইহং ভারত ও চীনের যুবসমাজকে দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের উপর প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে
ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনার জন্য চীনা রাষ্ট্রদূত অন্যান্য শক্তি এবং পশ্চিমা গণমাধ্যমের পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদনকেও দায়ী করেছেন। কিছু শক্তি এই দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখতে চায় না এবং তারা তাদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
'পশ্চিমা গণমাধ্যম চীনের ভয়কে অতিরঞ্জিত করে'
এই শক্তিগুলি চীনের ভয় এবং চীনের ভাঙনের তথাকথিত প্রচারণাকে অতিরঞ্জিত করে। এই বিষয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলিও বেশ বিদ্বেষপূর্ণ।
ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে: ফেইহং
ফেইহং বলেন, ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধ সমাধানের জন্য বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের ২৩তম বৈঠক এবং পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন করে উন্নত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
উভয় দেশেই পারস্পরিক সহযোগিতা এবং চলাচল প্রয়োজন:
এখনই সময় দুই দেশের তরুণদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির এবং তাদের মধ্যে চলাচলের আরও ভালো সুযোগ তৈরি করার। দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যে ঐকমত্য হয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য এটি আমাদের জন্য একটি খুব ভালো সুযোগ।
তরুণদের উদ্দেশ্যে চীনা রাষ্ট্রদূত আর কী বললেন?
এই চুক্তিটি একে অপরের মূল স্বার্থকে সম্মান করার, একে অপরের উন্নয়নকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখার এবং পারস্পরিক আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করার বিষয়ে। চীনা রাষ্ট্রদূত উভয় দেশের তরুণদের একে অপরের প্রতি সঠিক চিন্তাভাবনা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment