বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর, ইউনূস সরকার আরেকটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) স্কুল বইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ইতিহাসের বই থেকে অনেক কিছু মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।
কী পরিবর্তন হবে?
যদি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিশ্বাস করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ তার জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের নাম ইতিহাসের বই থেকে মুছে ফেলতে চায়। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে, ভারত বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে মুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশ বই থেকে এই পুরো গল্পটি মুছে ফেলতে চায়, যাতে শিশুদের ভারতের প্রতি কোনও সহানুভূতি না থাকে।
শেখ মুজিবুর রহমান এবং ইন্দিরা গান্ধীর ছবি সরিয়ে ফেলা হবে
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের ভূমিকার গল্প ইতিহাসের পাতায় ভরপুর। একই সাথে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের দুটি ছবিও ইতিহাসের বই থেকে মুছে ফেলা হতে চলেছে। এই ছবিগুলিতে, শেখ মুজিবুর রহমানকে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিগুলির মধ্যে একটি ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার সমাবেশের এবং অন্যটি ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ঢাকায় ইন্দিরা গান্ধীর স্বাগতের।
পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের ছবি থাকবে।
যদি প্রতিবেদনগুলি বিশ্বাস করা হয়, বাংলাদেশ বই থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর উল্লেখ না সরাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই তথ্য ইতিহাসে বিদ্যমান থাকবে। এছাড়াও, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের ছবি ইতিহাসের বই থেকে মুছে ফেলা হবে না।
শেখ হাসিনার ছবি সরিয়ে ফেলা হবে
বাংলাদেশ স্কুলের বইয়ে বড় পরিবর্তন এনেছে এবং শেখ হাসিনার সমস্ত ছবি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কিত বিষয়বস্তু হয় পুনর্লিখন করা হবে অথবা হ্রাস করা হবে। বই থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব ব্যাখ্যাকারী অধ্যায়টি বাদ দেওয়া হবে।
৫৭ জন বিশেষজ্ঞের একটি দল গঠন করা হয়েছিল
বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৫৭ জন বিশেষজ্ঞের একটি দল প্রস্তুত করেছে যারা বইয়ের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন আনবে। যদি পরিসংখ্যানগুলি বিশ্বাস করা হয়, তাহলে এই প্রকল্পের অধীনে ৪৪১টি বই প্রতিস্থাপন করা হবে। এই বছর শিশুদের জন্য ৪০ কোটিরও বেশি নতুন বই প্রকাশিত হবে।
No comments:
Post a Comment