প্রেমিকের চাপের মুখে পরে আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী , পরীক্ষার প্রথম দিনেই নিল চরম সিদ্ধান্ত

 

প্রেমিকের চাপের মুখে পরে আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী,ঘর থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য।

ঘটনাটি ঘটে অশোকনগর থানার অন্তর্গত গুমা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট বামুনিয়ার এলাকায়।বছর ১৫ এর সোনালী খাতুন গুমার রবীন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এর ছাত্রী।আজ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম ভাষার পরীক্ষা দিতে রাজিবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফিরে।পরিবারের সদস্যর অভিযোগ তারপরে একটি ফোন আসে এবং তারপরেই নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না ও গামছা দিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় এই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।সোনালীর বন্ধুরা জানান,জসিম দফাদার নামে বছর ২২ এর এক যুবকের সাথে দীর্ঘ দু'বছর তাকে বিভিন্ন সময় উত্তপ্ত করতে।প্রথম দিকে সম্পর্ক থাকলেও তারপরে তাতে ভাটা পরে  দীর্ঘদিন ধরে এই যুবককে প্রেমে প্রত্যাখ্যান করে।এর পর থেকে উত্যাপ্ত করতে থাকে এই ছাত্রীকে।রবিবার বিকেলে নিজের বান্ধবীর সাথে এই বিষয় আলোচনা করে ও নিজের এই আত্মঘাতী হওয়ার কথা বলে।কিন্তু তাঁর পরেও আজ সকালে প্রথম ভাষার পরীক্ষা দেয় বাড়ী ফিরে একটা ফোন আসে সেই সময় ঝামেলা হচ্ছিলো বলে দাবী করেন পরিবারের সদস্যরা।পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘ সময় ধরে কোনো খোঁজ না পেয়ে ডাকাডাকি করে সারা না পেয়ে দেখতে পায় ভেতর থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।এরপরেই দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে ঝুলন্ত অবস্থায় ছাত্রী দেহ উদ্ধার করে তড়িঘড়ি  বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে আগামীকাল তার ময়নাতদন্ত হবে।ওই যুবকের বিরুদ্ধে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা।গোটা ঘটনা তদন্ত করছে অশোকনগর থানার পুলিশ।