আজকাল, পরিবর্তিত জীবনধারা এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে মানুষ গুরুতর রোগের শিকার হচ্ছে। হৃদরোগ সম্পর্কিত রোগও এর মধ্যে একটি। যখন হার্ট ব্লকেজ দেখা দেয়, তখন রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে, যা হার্ট অ্যাটাকের মতো হৃদরোগজনিত রোগের দিকে পরিচালিত করে। এমন পরিস্থিতিতে, আসুন জেনে নেওয়া যাক হৃদপিণ্ডে বাধার কারণ কী এবং এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য কী কী প্রতিকার ব্যবহার করা যেতে পারে?
হৃদপিণ্ডে বাধার কারণ:
হৃদপিণ্ডে ব্লকেজের সবচেয়ে বড় কারণ হল খারাপ কোলেস্টেরল। যখন খারাপ কোলেস্টেরল হৃদপিণ্ডের ধমনীর দেয়ালে জমা হতে শুরু করে, তখন ধমনীগুলি সরু হয়ে যায়, যা রক্ত প্রবাহকে হ্রাস করে। এছাড়াও, যখন চর্বি, ফাইবার টিস্যু এবং কোলেস্টেরল হৃদপিণ্ডের ধমনীতে জমা হয়, তখন অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়, যা শ্বাসকষ্ট এমনকি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
হার্ট ব্লকেজের লক্ষণ:
ঘন ঘন মাথাব্যথা
মাথা ঘোরা
বুকে ব্যথা
শ্বাসকষ্ট
কাজে ক্লান্ত থাকা
ক্ষীণ হওয়া
পা বা হাতে ব্যথা
হার্ট ব্লকেজ দূর করার ঘরোয়া প্রতিকার:
ডালিম: ডালিমে ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং স্নায়ুর আস্তরণের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। হার্ট ব্লকেজ দূর করতে, প্রতিদিন এক কাপ ডালিমের রস খান। ডালিম খাওয়া হার্ট অ্যাটাক এড়াতে সাহায্য করে।
অর্জুন ছাল: হৃদরোগ সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় অর্জুনের ছাল ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর ছালে প্রাকৃতিক অক্সিডাইজিং এজেন্ট থাকে যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। অর্জুনের ছাল ব্যবহারের আগে আপনার একজন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
রসুন খাওয়া: ব্লকড শিরা পরিষ্কার করার জন্য রসুন অন্যতম সেরা প্রতিকার। এটি রক্তনালীগুলিকে প্রশস্ত করে, এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। রসুন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
হলুদ খাওয়া: হলুদ হল হৃদযন্ত্রের ব্লকেজের জন্য একটি ঘরোয়া প্রতিকার। এতে কারকিউমিন থাকে, যার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। হলুদ গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment