কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হল প্রাক্তন বিধায়ক তথা ভাঙড় ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামকে। চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনকেও বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভাঙড়ে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের জের, সেইসঙ্গে দল বিরোধী কাজের অভিযোগেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
দলীয় শৃঙ্খলার লাগাম শক্ত করার কথা বরাবরই বলে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণেও। সম্প্রতি ভাঙড়ে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগামহীন সংঘর্ষ, খুনের ঘটনার পাশাপাশি তোলাবাজিতে নাম জড়ায় ভাঙড়ের 'বেতাজ বাদশা' আরাবুলের। বিষয়টি যে নেত্রীর বিরক্তির কারণ হয়েছে, সে আভাস মেলে হাতিশালায় ইনফোসিসের উদ্বোধনে। সেখানে আরাবুলের নামগন্ধ না করার পাশাপাশি শওকাতকে এলাকা দেখার দায়িত্ব দিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার বিডিও অফিসে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে বচসা থেকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন আরাবুল ইসলাম এবং তার পুত্র হাকিমুল ইসলাম। ঘটনা সামাল দিতে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয় কলকাতা পুলিশকে। এই ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত তৃণমূল নেত্রী থেকে তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শুক্রবার তৃণমূল ভবন থেকে আরাবুল ইসলামকে সাসপেন্ড করা হয়।
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের পর শান্তনু সেন বেশ কয়েকবার মুখ খোলেন। তিনি সরাসরি হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিশানা করেছিলেন। সেই সময়, একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য খাত নিয়েও বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন। এর পর তাকে তৃণমূলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর এখন শান্তনুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।
শুক্রবার তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার প্রেস বিবৃতি দিয়ে চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনের সঙ্গে আরাবুলের সাসপেন্ড ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে আরাবুল ইসলাম বলেন, "এটা দলের সিদ্ধান্ত। আমার কিছু বলার নেই।"
আর এদিকে, আরাবুলের বহিষ্কারের খবর চাউর হতেই ভাঙড়ের বিভিন্ন প্রান্তে আরাবুল বিরোধী তৃণমূল নেতা থেকে কর্মীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।
No comments:
Post a Comment