ইন্দোরের বনগঙ্গা এলাকার বাসিন্দা এক মেয়ে বিয়ের প্রথম রাতে কুমারীত্ব পরীক্ষা করার কুপ্রথার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। মেয়েটির অভিযোগ, বিয়ের রাতে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার কুমারীত্ব পরীক্ষা করার জন্য ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল, যার কারণে তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
এই বিষয়টি ইন্দোর জেলা আদালতে পৌঁছায়, যেখানে আদালত বিষয়টি আমলে নেয় এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনা সমাজে বিরাজমান কুপ্রথা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ভোপালের এক যুবকের সাথে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর, তিনি গর্ভপাত এবং মৃত কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার মতো সমস্যার মুখোমুখি হন। বর্তমানে ভুক্তভোগীর একটি মেয়ে আছে।
মহিলার অভিযোগের পর, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের তদন্তে জানা গেছে যে বিয়ের প্রথম রাতেই তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার কুমারীত্ব পরীক্ষা করার জন্য অমানবিক পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, যৌতুকের জন্য তাকেও নির্যাতন করা হয়েছিল।
আদালত এটিকে একটি গুরুতর বিষয় বিবেচনা করে কার্যক্রম শুরু করেছে
আদালত এই মামলাটিকে নারী হয়রানির একটি গুরুতর মামলা হিসেবে বিবেচনা করেছে এবং এর কার্যক্রম শুরু করেছে। এই মামলাটি কেবল নারীর অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নয়, বরং সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি প্রচেষ্টাও।
No comments:
Post a Comment