এবার কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গুরুতর বলে মনে হচ্ছে, তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মনোভাব এখনও যথেষ্ট ঠান্ডা । রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রার আক্রমণাত্মক প্রচারণার প্রস্তুতি সত্ত্বেও, স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কংগ্রেসের সাম্প্রতিক এক অনলাইন সভায়, যেখানে রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা দিল্লির স্থানীয় নেতাদের সাথে কথা বলেছেন, এই ধীরগতিই ছিল আলোচনার মূল বিষয়। সূত্রের খবর, রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা নেতাদের নিষ্ক্রিয়তার উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রশ্ন তোলা হয়েছিল যে স্থানীয় পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের উৎসাহ কেন দেখা যাচ্ছে না? সর্বোপরি, নির্বাচনী প্রচারণার সম্পূর্ণ দায়িত্ব কেন কেবল শীর্ষ নেতৃত্বের উপর ছেড়ে দেওয়া হল? রাহুল গান্ধী প্রথমে সিলামপুর থেকে তার জনসভা শুরু করেছিলেন, কিন্তু এরপর প্রচারণা ধীর হয়ে যায়। এখন তার সমাবেশগুলি আবার শুরু হতে চলেছে ২২ জানুয়ারী বুধবার থেকে। প্রথম জনসভাটি সদর বাজারে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে কংগ্রেস মুসলিম, দলিত এবং ব্রাহ্মণ ভোটারদের একীভূত করার উপর জোর দিচ্ছে। পরের দিন, ২৩ জানুয়ারি, রাহুল গান্ধী মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা মুস্তাফাবাদে একটি সমাবেশে ভাষণ দেবেন। ২৪শে জানুয়ারী তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত মাধপুর আসনে তার সমাবেশের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে একটি বিশাল শিখ জনগোষ্ঠীও বাস করে, যা কংগ্রেস নিজেদের পক্ষে আনতে চায়।
বৈঠকে কংগ্রেসের দিল্লির ইনচার্জ কাজী নিজামুদ্দিন এবং রাজ্য সভাপতি দেবেন্দ্র যাদব সহ প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিও উপস্থিত ছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্ব স্থানীয় নেতাদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে বিজেপি এবং আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আখ্যান এখনও কেন তৈরি হয়নি? তিনি আরও নির্দেশ দেন যে কংগ্রেসের পাঁচটি গ্যারান্টি, বিশেষ করে নারী ও যুবদের জন্য করা ঘোষণাগুলি, জনসাধারণের কাছে কার্যকরভাবে পৌঁছে দিতে হবে। যদিও কৌশল প্রস্তুত এবং রাহুল-প্রিয়াঙ্কা নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন, কিন্তু স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা নির্বাচনের ফলাফলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কংগ্রেস কি এই চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে পারবে, নাকি এই অলসতা দলের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হবে? আগামী দিনে আমি এর উত্তর দেব।
No comments:
Post a Comment