ভালোবাসার সংজ্ঞা কী? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন। ভালোবাসার অর্থ সবার কাছে আলাদা। ভালোবাসার অনেক ধরণ আছে। যেমন ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা, পিতামাতার প্রতি ভালোবাসা, সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা, অর্থের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। এই সবের মধ্যে, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের মধ্যে প্রেম সবচেয়ে বেশি তুলে ধরা হয়েছে। যখন একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে একে অপরের প্রেমে পড়ে, তখন তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। আজও ভারতে এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে প্রেমের বিবাহ গ্রহণযোগ্য নয়। তারা এটাকে তাদের সমাজে সম্মান হারানোর সমতুল্য মনে করে।
একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে প্রেমের বিয়ের ধারণাটি হজম করা খুবই কঠিন, তাই তাদের মেয়ে যদি ছেলের পরিবর্তে মেয়ের প্রেমে পড়ে, তাহলে কী হবে? শুধু তাই নয়, তার উচিত ওই মেয়েটিকে বিয়ে করা। মানে এক মেয়ের সাথে অন্য মেয়ের বিয়ে। এই খবর শুনে বাবা-মায়েরা অবশ্যই বড় ধাক্কা পাবেন। কিন্তু যখন দুজন মানুষ প্রেমে পড়ে, তখন তারা কেবল চেহারা, সম্পদ বা দারিদ্র্য দেখে না, এমনকি অন্য ব্যক্তির লিঙ্গও দেখে। আজকের যুগে, একজন ছেলের অন্য ছেলের প্রেমে পড়া এবং একজন মেয়ের অন্য মেয়ের প্রেমে পড়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু একটি ভারতীয় পরিবারের জন্য এটি এখনও একটি বড় বিষয়।
হরিয়ানার গুরুগ্রাম এবং ঝাজ্জর জেলার দুই মেয়ের প্রেমের গল্পটি ধরুন। এখানে ১৯ এবং ২০ বছর বয়সী দুই মেয়ে সোহনার একটি মন্দিরে বিয়ে করে তাদের পরিবারকে অবাক করে দিয়েছে। দুই মেয়েই গত ৭ বছর ধরে বন্ধু। তাদের বন্ধুত্ব ভালোবাসায় পরিণত হয়। সে আগে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে তার ভালোবাসার গল্প বলেছিল। কিন্তু পরিবার তাকে প্রেম এবং বিয়ের এই ধারণাটি ভুলে যেতে বলেছিল। এরপর, উভয় মেয়েই তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে মন্দিরে ঈশ্বরের সামনে হিন্দু রীতি অনুসারে বিয়ে করে।
এই বিয়েতে গুরুগ্রামের পতৌদি এলাকার এক মেয়ে স্ত্রী হয়েছেন এবং ঝাজ্জরের এক মেয়ে স্বামী হয়েছেন। পতৌদি মেয়েটি দশ দিন আগে তার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে, তার বাবা থানায় তার মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পুলিশ যখন মেয়েটিকে খুঁজে পায়, তখন সে তার বন্ধুর সাথে তার বিয়ের কথা প্রকাশ করে। বলা হচ্ছে যে দুই মেয়েই একই স্কুলে পড়ত। তার বাবা-মা বলেছিলেন যে এই বিয়ে সমাজের বিরুদ্ধে ছিল। এর পরেই উভয় প্রেমিক-প্রেমিকা এই পদক্ষেপ নেন।
হেলিনমাদি থানার ইনচার্জ মহেশ কুমার বলেন, আমরা শনিবার উভয় মেয়েকেই পতৌদির স্থানীয় আদালতে হাজির করেছি। আদালতকে বলা হয়েছিল যে উভয় মেয়েই প্রাপ্তবয়স্ক এবং তারা মন্দিরে বিয়ে করেছে। মেয়ে দুজনের পরিবার তাদের বোঝানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল কিন্তু তারা দুজনেই একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। সে তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চায় না।
No comments:
Post a Comment