চিনি অর্থাৎ (অনিয়ন্ত্রিত চিনি) ডায়াবেটিস এখন এমন একটি রোগ যা প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করেছে। গড়ে প্রতিটি পরিবারের একজন বা অন্য সদস্য এই ভয়াবহ রোগে ভুগছেন। যারা প্রচুর মিষ্টি খান বা খেতেন, কেবল তারাই যে সুগারের র দ্বারা আক্রান্ত হবেন তা জরুরি নয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেও এই রোগ হয়। দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, যারা মিষ্টি খান তাদের মধ্যেই কেবল চিনির মাত্রা বাড়ছে না। আসলে, যারা টেনশন নেন তাদের চিনির মাত্রাও বাড়ছে।
১- ক্রমাগত টেনশনে থাকা
ক্রমাগত চাপে থাকা এবং কয়েক ঘন্টা ধরে একই জিনিস নিয়ে চিন্তা করাও উচ্চ শর্করার মাত্রার কারণ। এই দ্রুতগতির জীবনে ক্রমাগত চাপের মধ্যে থাকার ফলে চিনি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। (অনিয়ন্ত্রিত চিনি) অতএব, যারা মনের উপর অতিরিক্ত চাপ দেন তাদের চিনির গ্রাফ বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক।
২. চিনির মাত্রা পরীক্ষা করাও টেনশনের একটি কারণ।
দুর্বল চিনি নিয়ন্ত্রণের কারণে রোগীরা তাদের চিনির মাত্রার অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বোধ করতে পারেন। এই উদ্বেগ উত্তেজনার কারণ হতে পারে। অনেক সময় রোগী চিনি পরীক্ষা করার পরই চিনি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। এই উত্তেজনার কারণে চিনির মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
৩. পারিবারিক উত্তেজনা চিনি বৃদ্ধির একটি প্রধান কারণ
পারিবারিক উত্তেজনা চিনির মাত্রা বৃদ্ধির একটি প্রধান কারণ। (পারিবারিক উত্তেজনা) পারিবারিক উত্তেজনার কারণে চিনির গ্রাফ বৃদ্ধি পায়। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে মানসিক চাপের কারণে কর্টিসল হরমোন নিঃসৃত হয়। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। অন্যদিকে, মানসিক চাপের কারণে ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ করে না, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে। চিকিৎসকরা বলছেন যে টেনশনের কারণে অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন উৎপাদন কমে যায়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে।
১. ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন: যদি আপনার সুগার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার বিষয়ে আপনি চাপ অনুভব করেন, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না।
২. খাওয়ার সময়সূচী তৈরি করুন: ডায়েট এবং ব্যায়াম পরিকল্পনা করে, আপনি আপনার ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন এবং উত্তেজনা কমাতে পারেন। অতএব, আপনাকে একটি সময়সূচী তৈরি করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করতে হবে।
৩. নিয়মিত আপনার সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করুন: আপনার চিনির মাত্রা পরীক্ষা করে, আপনি আপনার সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন এবং টেনশন কমাতে পারেন। আপনার ডায়াবেটিসের মাত্রা সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য প্রতি দুই দিন অন্তর বাড়িতে আপনার চিনির মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন: যোগব্যায়াম এবং ধ্যানের মাধ্যমে আপনি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন এবং চাপ কমাতে পারেন। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং যতটা সম্ভব হাঁটুন।
No comments:
Post a Comment