আজকাল দূষণ এবং অন্যান্য কারণে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট, ক্রমাগত কাশি এবং অন্যান্য লক্ষণগুলি ইঙ্গিত দেয় যে ফুসফুস সঠিকভাবে কাজ করছে না। যদি তাদের কার্যকারিতার উপর চাপ পড়ে এবং সঠিক যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে এই অবস্থা হাঁপানির মতো আরও গুরুতর সমস্যায় পরিণত হতে পারে। যদিও ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয়বহুল চিকিৎসা গ্রহণ করা হয়, তবুও কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকারের মাধ্যমে ফুসফুসকে বিষমুক্ত করা যেতে পারে।
ফুসফুসের স্বাস্থ্য উন্নত করার এবং তাদের বিষমুক্ত করার কিছু সহজ এবং কার্যকর উপায় এখানে দেওয়া হল:
১. স্টিমিং
করোনা মহামারীর সময়, লোকেরা তাদের ফুসফুস সুস্থ রাখার জন্য ভেষজ ক্বাথ পান করার পাশাপাশি বাষ্প গ্রহণ শুরু করেছিল। ফুসফুসে জমে থাকা ময়লা অপসারণে বাষ্প নেওয়া বা বাষ্প নেওয়া সহায়ক। জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল মেডিসিনের গবেষণা অনুসারে, স্টিমিং হাঁপানি এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। আপনি সরাসরি গরম জলের বাষ্প শ্বাসের সাথে নিতে পারেন অথবা এতে নিম পাতার মতো প্রাকৃতিক জিনিস যোগ করতে পারেন।
২. প্রাণায়াম
যোগব্যায়াম এবং প্রাণায়ামের উপকারিতা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরেই জানা। প্রাণায়াম অনুশীলন ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা উন্নত করে। এটি কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণে সাহায্য করে এবং পুরো শরীরকে উপকৃত করে। প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট প্রাণায়াম অনুশীলন করলে ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
৩. ভেষজ চা
কিছু ভেষজের ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন আদা, হলুদ এবং পুদিনা। হলুদে প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খালি পেটে হলুদ বা তুলসী চা-এর মতো ভেষজ চা পান করলে ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থ দূর হতে সাহায্য করতে পারে।
৪. সবুজ প্রকৃতিতে সময় কাটান
সবুজ গাছপালা এবং প্রাকৃতিক সবুজ আমাদের শ্বাসযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পরিবর্তিত বিশ্বে গাছপালা ক্রমাগত কাটা হচ্ছে, যার কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ছে। পার্কের মতো সবুজ জায়গায় কিছু সময় কাটালে ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। প্রতিদিন ১৫ মিনিট এভাবে ব্যয় করলে ফুসফুসের বিষমুক্তি ঘটে।
এই সহজ ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করে আপনি আপনার ফুসফুসকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে পারেন, যা শ্বাস-প্রশ্বাসকে সহজ করবে এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করবে।
No comments:
Post a Comment