পশ্চিম মেদিনীপুর: বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য রবিবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কেন্দ্রে সুজয় হাজরাকে প্রার্থী করা হয়েছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথম কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা। একাধিকবার সুযোগ পেলেও দল তাঁকে দাঁড়ানোর অনুমতি দেয়নি। প্রতিবারই অন্যের হয়ে লড়াইয়ের নির্দেশ দিয়েছে। এবার তাঁকে মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী করেছে দল। আর সুজয় হাজরাকে এই টিকিট দেওয়াতে অনুগামীদের উচ্ছ্বাস শুরু হয়ে যায় মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ের সামনে। পোড়ানো হয় আতশবাজি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা পুরনো তৃণমূলের কর্মী। ২০১১ সাল থেকে একের পর এক জেলা জুড়ে নির্বাচনে প্রার্থীদের সহযোগিতা করে এসেছেন লড়াইয়ে। ১৩ বছর ধরে বিভিন্ন নির্বাচনে নেতাকর্মীদের জিতিয়ে সুদক্ষ সেনাপতি হিসেবেই রয়ে গিয়েছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনে অনেকেই ভেবেছিলেন এবার হয়তো সাংসদ পদ পাবেন মেদিনীপুর লোকসভার জন্য। কিন্তু তা হয়নি। দল জানিয়ে দিয়েছিল, প্রার্থী হবেন বিধায়ক পদ ছেড়ে আসা জুন মালিয়া। তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে সুজয় হাজরাকে। এরপর জুন মালিয়া জয়ী হলে তারপর ভাবা হবে সুজয় হাজরার কথা। দলের সেই নির্দেশ মেনে সৈনিকের মত কাজ করেছিলেন সুজয়। জয়ীও হয়েছিলেন জুন মালিয়া। অবশেষে তার পুরস্কার দিল দল। জুন মালিয়ার ছেড়ে যাওয়া মেদিনীপুর বিধানসভার আসনে উপনির্বাচনের সময় তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে সুজয় হাজরার।
রবিবার দুপুর ৩ টা নাগাদ এই ঘোষণার পরেই সুজয় হাজরার অনুগামী তথা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ের সামনেই রাস্তার ওপর আতশবাজি ফাটানো শুরু করেন। ফুলের তোড়া, ফুলের মালা নিয়ে অনেকেই হাজির হয়ে যান সুজয় হাজরাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য।
সুজয় হাজরা বলেন, 'কোন নির্বাচনে আমি লড়িনি এটা ঠিকই। কিন্তু নির্বাচনী ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছি। অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভোটার তথা সাধারণ মানুষ জানেন, তাঁদের পাশে কারা ছিল। বিরোধীদের কোনও কুৎসা কাজ করবে না। মেদিনীপুর লোকসভার মতো মেদিনীপুর বিধানসভাতেও তৃণমূলই জয় লাভ করবে।'
No comments:
Post a Comment