যুবদের মধ্যে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি! প্রতিদিনের এই অভ্যাসই করছে ক্ষতি - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Thursday 1 August 2024

যুবদের মধ্যে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি! প্রতিদিনের এই অভ্যাসই করছে ক্ষতি

 


যুবদের মধ্যে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি! প্রতিদিনের এই অভ্যাসই করছে ক্ষতি




 লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০১ আগস্ট: একজন মানুষ যতই ফিট হোক বা যতই কম বয়সী হোক না কেন, তাকে সতর্ক থাকতে হবে কারণ হার্ট অ্যাটাক যেকোনও সময় এবং যে কোন জায়গায় হতে পারে। আপনার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং এর পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ আপনার অবনতিশীল জীবনধারা। জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন এনে আপনার হার্টকে সুস্থ রাখা যায়।


সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিনিয়র হার্ট স্পেশালিস্ট ডাঃ সাকেত গয়াল বলেন, 'হৃদয়ের কথা মন দিয়ে শুনলে হৃদরোগ এড়ানো যায়। কোটায় পরিবর্তিত জীবনধারার কারণে প্রতিদিন শত শত রোগী হাসপাতালে যাচ্ছেন। কোটায় প্রতিদিন ১২ জন হৃদরোগীর মৃত্যু হচ্ছে। তাদের অধিকাংশের বয়স ৫০ বছরের নিচে। এর মধ্যে নীরব হামলায় মারা যাচ্ছে তিনজন।'


ডাঃ সাকেত গয়াল বলেন, 'হার্টওয়াইজ লাইফস্টাইলের মাধ্যমে হার্টের যত্ন নেওয়া যায়। এই জীবনযাত্রার মাধ্যমে আমরা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপের ঝুঁকি ৮০ শতাংশের বেশি কমাতে পারি।' তিনি বলেন, 'শূন্য চিনি সহ একটি সুষম খাদ্য আপনার স্বাস্থ্য লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।' তিনি বলেন, 'গমের ব্যবহার কমিয়ে বাজরা, জোয়ার, ভুট্টা, ছোলা, রাগি, সয়াবিন ইত্যাদির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ভালো পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করুন এবং তেল ও ঘি কম পরিমাণে এবং কাঁচা আকারে গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।'


ডাঃ সাকেত গোয়েল প্রত্যেক রোগী ও সুস্থ ব্যক্তিকে হার্টকে সুস্থ রাখতে একটি বিশেষ জীবনধারা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে। তিনি বলেন, 'প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাঁটার নিয়ম অবলম্বন করুন, 'যারা প্রতিদিন হাঁটেন তারা বেশি হাঁটেন। বসার সময় ৫০ শতাংশ কমিয়ে দিলে রোগ ৫০ শতাংশ কমে যায়। দিনে বেশি সময় দাঁড়ান এবং ঘন ঘন হাঁটুন।'


 মোবাইল ব্যবহার কমান

 ডাঃ সাকেত গয়াল বলেন, 'পেশী সংরক্ষণের জন্য কিছু ব্যায়াম যেমন পুশ আপ, ওয়েট লিফটিং ইত্যাদি প্রয়োজন। সূর্য নমস্কার সামগ্রিক সুস্থতার জন্য সর্বোত্তম ব্যায়াম। আপনার কাজ এবং পরিবার, আপনার লক্ষ্য এবং সুখের মধ্যে সামঞ্জস্য স্থাপন করার চেষ্টা করুন। মোবাইল ব্যবহার কমান। ধ্যান এবং সঠিক ঘুমের নিয়ম করুন।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad