যুবদের মধ্যে দ্রুত বাড়ছে কিডনি রোগ, সুস্থ থাকতে যা যা করবেন
লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ আগস্ট: দেশে দ্রুত বাড়ছে কিডনি রোগ। আগে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যা শুরু হলেও আজকাল মানুষ কম বয়সেই এর শিকার হচ্ছে। এই সংক্রান্ত একটি নতুন রিপোর্ট খুবই চাঞ্চল্যকর, যাতে বলা হয়েছে যে যুবদের মধ্যে কিডনি রোগের ঝুঁকি খুব দ্রুত বাড়ছে।
দেশের প্রতি পঞ্চম যুব কিডনি রোগে আক্রান্ত
দেশের প্রতি পঞ্চম যুব কিডনি রোগে আক্রান্ত। ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ নেফ্রোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, গত দুই দশকে ভারতে কিডনি মৃত্যুর ঘটনা ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এখন ২০-৩০ বছর বয়সী যুবদের কিডনিতে পাথরের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া এবং সামান্য ব্যায়াম করা।
কিডনি রোগের প্রধান কারণ
গবেষণায় দেখা গেছে যে যৌবনে কিডনি বড় হওয়ার প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড এবং লবণ অর্থাৎ সোডিয়াম খাওয়া। যার কারণে উচ্চ রক্তচাপ বাড়তে থাকে এবং ধীরে ধীরে কিডনির স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। শুরুতে কিডনির সমস্যা ঠিকমতো ধরা না পড়লে সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। আসলে, আজকাল ব্যস্ত জীবনের কারণে, সময়ের অভাবে যুবরা ফাস্ট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাচ্ছে। যেগুলোতে খুব বেশি সোডিয়াম থাকে। এছাড়াও ডেস্ক জব এবং বাড়ি থেকে কাজ করার কারণে আজকাল যুবদের মধ্যে শারীরিক কার্যকলাপও খুব কম। তাই তাদের অভ্যাস ও জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
কিডনি রোগ থেকে বাঁচার উপায়
১. অ্যালকোহল এবং সিগারেট কিডনির ওপর চাপ দেয়, এমন পরিস্থিতিতে কিডনির কার্যকারিতা প্রভাবিত হতে পারে। অবিলম্বে এটি থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
২. অবিরাম জল পান করুন, নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন যাতে পরিস্রাবণ প্রক্রিয়া সঠিক থাকে।
৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং প্রতিদিনের রুটিন নিয়মানুগ করুন, কারণ এর ফলে কিডনি রোগ বাড়তে পারে।
৪. শুধুমাত্র একটি সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন। এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
৫. নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে এবং শুধু কিডনি নয় অন্যান্য রোগও দূরে থাকে।
৬. বয়স বাড়ার সাথে কিডনির কার্যকারিতা প্রভাবিত হতে পারে, তাই জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন, সমস্যা হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
বি.দ্র: প্রতিবেদনে দেওয়া কিছু তথ্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে। কোনও পরামর্শ বাস্তবায়ন করার আগে, আপনাকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
No comments:
Post a Comment