প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর গোপন কারাগার নরকের চেয়েও খারাপ! কী আছে এতে?
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৩ আগস্ট : শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। ১০ আগস্ট যখন বন্দিরা আয়না ঘর থেকে মুক্তি পান, তখন তাদের সংখ্যা ছিল মাত্র ১০০। ৫০০ বন্দী নিখোঁজ ছিল।
ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার (৭৬) গোপন কারাগার যেখানে বন্দিদের ওপর চরম নির্যাতন করা হতো। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কী ঘটেছিল সেই গোপন কারাগারের ভেতরে:
শেখ হাসিনার গোপন কারাগার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়, যা 'আয়না ঘর' নামেও পরিচিত। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সেখানে বন্দীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রচণ্ড ও নিষ্ঠুর নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।
মীরপুরে (ঢাকার) নির্মিত এই কারাগারে বন্দীদের রাখা হতো ২০ ফুট উঁচু দেয়ালের ঘেরের ভেতরে। কথিত আছে যে সূর্যের আলোও অন্ধকূপে যেত না। তিনজনকে একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল
সেখানে দেড় মাস কারাবন্দি ছিলেন বিরোধী দল বিএনপির ছাত্রদলের নেতা মোহাম্মদ আতিক ৮আগস্ট মুক্তি পান।জেল থেকে বেরিয়ে হিন্দি সংবাদপত্র 'ডিবি'কে মো আতিক বলেন, "আয়না ঘর ছিল নরকের সমান।"
মোহাম্মদ আতিক বলেন, কারাগারে বন্দীদের নেইল প্লাইয়ার দিয়ে টেনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
আট বছর ধরে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা শাখার তত্ত্বাবধানে গোপন কারাগারটি পরিচালিত হচ্ছিল। সেখানে ৬০০ জন বন্দী ছিল।
বর্তমানে আয়না ঘরটি খালি রয়েছে। মাত্র ১০০ জন সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছিল, যখন ৫০০ জন নিখোঁজ হয়েছিল। তাদের কোনো হদিশ নেই।
শেখ হাসিনা বিরোধী নেতা, আধিকারিক ও সাংবাদিকদের আয়না ঘরে বন্দি করে রাখতেন বলেও জানানো হয়।
No comments:
Post a Comment