১৫ টি জায়গায় অভিযান সিবিআইয়ের - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Sunday, 25 August 2024

১৫ টি জায়গায় অভিযান সিবিআইয়ের

 


১৫ টি জায়গায় অভিযান সিবিআইয়ের 

 


নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা : কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই।  গতকাল ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  এদিন তাঁর বাড়িতে পৌঁছেছে সিবিআই দল।  হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।  দুর্নীতির মামলায় এই ব্যবস্থা নিয়েছে সিবিআই।


 আরজি ট্যাক্সে আর্থিক অনিয়মের ক্ষেত্রে, সিবিআই একযোগে ১৫ টি জায়গায় অভিযান চালায়।  এই মামলায় সন্দীপ ঘোষ সহ অনেকেই সিবিআইয়ের কবলে রয়েছেন।  সিবিআই টিম বর্তমানে ৪টি স্থানে রয়েছে।


     ডঃ সন্দীপ ঘোষ (প্রাক্তন অধ্যক্ষ)

     ডাঃ দেবাশীষ সোম (প্রদর্শক, ফরেনসিক মেডিসিন)

     সঞ্জয় বশিষ্ঠ (প্রাক্তন সুপার)

     বিপ্লব সিং (আরজিকর সরবরাহকারী)


আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট আখতার আলি সন্দীপ ঘোষের আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে অনেক তথ্য প্রকাশ করেছেন।  ঘোষকে নিয়ে আখতার আলী যে দাবি করেছেন তা খুবই মর্মান্তিক।  আখতার দাবি করেছেন যে ঘোষ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে একটি র‌্যাকেট চালাতেন এবং অনেক ছাত্রও সেই র‌্যাকেটের সঙ্গে জড়িত ছিল।  আখতার আলী জানান, সন্দীপ ঘোষ টাকা নিয়ে ছাত্রদের ফেল করাতেন।  মৃতদেহ বিক্রি করত।  বায়োমেডিকাল বর্জ্য পাচার করতে ব্যবহৃত হয়।  এ ছাড়া মেশিন কেনা-বেচা, ইউজি-পিজি কাউন্সেলিংয়ে কারচুপি, নিয়োগে দুর্নীতির মতো অনেক অভিযোগ উঠেছে ঘোষের বিরুদ্ধে।


 রাজ্য সরকার একটি এসআইটি গঠন করেছিল এবং এটিকে আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে বলেছিল, তবে প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আখতার আলীর অভিযোগ।  এরপর আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।  সুপ্রিম কোর্টও শুনানির সময় মন্তব্য করেছিল যে একজন তরুণ আইনজীবী কলেজে যে দুর্নীতি হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদের কিছু নথি দিয়েছেন।  কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই।  শনিবার সকালে রাজ্য সরকারের এসআইটি মামলার নথি CBI-এর কাছে হস্তান্তর করেছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad