বন্দুকের ভয় দেখিয়ে অপহরণ, ধর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা : কলকাতায় এক মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা এখনও শেষ হয়নি যে রাজ্যে আরও এক মহিলা নৃশংসতার শিকার হয়েছেন। প্রথমে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয় ওই মহিলাকে। তারপর তাঁরা তাকে গোয়ালঘরে নিয়ে গেল। এখানে তিনি শুধু ওই নারীকে ধর্ষণই করেননি, তার ওপর এতটাই অত্যাচার করেন যে ওই নারী গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর ওই মহিলাও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার স্বামী তাকে বাঁচিয়েছে। এরপর ওই দম্পতি থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা অভিযুক্তকে চিনতেন। সে আগে থেকেই তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চেয়েছিল। কিন্তু মহিলা প্রথমে বেশ কয়েকবার তাকে উপেক্ষা করেন। কিন্তু একসময় এই কাজের জন্য ওই মহিলা তাঁকে তিরস্কার করেন। একদিন সুযোগ নিয়ে অভিযুক্তরা ওই মহিলাকে অপহরণ করে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে। তাকেও নির্যাতন করে। পরে তাকে নির্জন এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়। বর্তমানে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ঘাটোয়া বীরভূম জেলার বোলপুর থানা এলাকার। এখানে এক ব্যক্তি এক বিবাহিত মহিলাকে পথে থামায়। এরপর তাকে বন্দুকের গুলিতে অপহরণ করে গোয়ালঘরে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ওই নারীকে মারধর করে তার গোপনাঙ্গে বন্দুক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ওই নারীকে নির্যাতনের পর নির্জন এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় কোনোমতে নিজের বাড়িতে পৌঁছান ওই মহিলা। এখানে মহিলা ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরে তার স্বামী সেখানে আসেন। সে তার স্ত্রীকে বাঁচিয়েছে।
এরপর স্ত্রী তার স্বামীকে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। দুজনেই থানায় পৌঁছান। এখানে মহিলা পুলিশকে বলেছেন- আমার স্বামী চেন্নাইয়ে চাকরি করেন। তিনি মাঝে মাঝেই বাড়িতে আসেন। আমাদের একটি ৪ বছরের ছেলেও আছে। আমি আমার ছেলের সাথে এখানে থাকি। এখানে গ্রামের এক যুবক আমাকে অনেক দিন ধরে হয়রানি করে আসছিল। সে বলত আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। আমি তাকে উপেক্ষা করতে থাকলাম। কিন্তু ১৭ আগস্ট তিনি আমাকে রাস্তা থেকে বন্দুকের মুখে অপহরণ করে নৃশংসতা করেন।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে রেহাই দেওয়া হবে না।
No comments:
Post a Comment