মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতিতে বিরক্তি প্রকাশ প্রয়াত তরুণী চিকিৎসকের মা
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা :কলকাতায় এক জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এখন ভুক্তভোগীর মা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতিতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে নির্যাতিতার পরিবার বিচার চায় না। নির্যাতিতার মা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, পরিবার বিচার চায় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতার নিজের কোনো ছেলে মেয়ে নেই, তাই সন্তান হারানোর বেদনা তিনি বুঝতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে আমরা আহত।
দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতের পরিবার জানিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দেওয়া বক্তব্যে তারা আহত হয়েছেন। নির্যাতিতার মা বলেন, বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বললেন, তা আমার পছন্দ হয়নি। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্ব আমার মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছে। কিন্তু তিনি (মমতা) বলছেন আমরা বিচার চাই না। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রতিদিনই চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে। সম্প্রতি একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। এই ক্লিপে কলকাতা পুলিশ নিহতের পরিবারকে বলেছে যে তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। যদিও এখন কলকাতা পুলিশ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “আমরা চ্যানেলগুলিতে চালানো কিছু অডিও ক্লিপ শুনেছি, কলকাতা পুলিশের তরফে এমন কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। আমরা কখনো বলিনি এটা আত্মহত্যা।"
অপরদিকে নিহত ডাক্তারের বাবা বলেন, কোথা থেকে এই (পুলিশ ও পরিবারের মধ্যে কথোপকথন) ভাইরাল হয়েছে আমরা জানি না। এর দায় আমরা নেব না। এসময় কথোপকথনে তার কণ্ঠ ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নির্যাতিতার বাবা বলেন, আপনি এমন বলছেন, কিন্তু আমার মনে হয় না। এ মামলার তদন্তে কোনো পার্থক্য থাকবে না।
ইন্দিরা মুখার্জি শরীর ঢেকে রাখার জন্য ব্যবহৃত চাদরের বিভিন্ন রঙের বিষয়ে মিডিয়া চ্যানেলগুলির দাবির জবাবও দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, কিছু ভিডিও ক্লিপে এমনও দাবি করা হয়েছে যে, শরীর ঢেকে রাখার জন্য যে বিছানার চাদর ব্যবহার করা হতো তার রঙ আগে ব্যবহৃত নীল চাদর থেকে ভিন্ন। তিনি বলেন, আমাদের দল যখন ফরেনসিক দলের সামনে ভিডিওগ্রাফি করেছিল, তখনও মৃতদেহটি নীল চাদরে ঢাকা ছিল এবং সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তরের সময়ও একই চাদর ছিল।
No comments:
Post a Comment