আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরকারী কারা ছিল? তদন্তে উঠে এল এই তথ্য
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা : আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত ২৫ 'দুর্বৃত্ত'কে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। উল্লেখ্য, চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে জনতা চিৎকার করে হাসপাতালে প্রবেশ করেছিল। এ সময় উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভস্থল, যানবাহন ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে।
উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, নার্সিং ইউনিট ও ওষুধের দোকান ভাঙচুর করে। এ ছাড়া হাসপাতালের সিসিটিভি নষ্ট হয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভাঙচুরের পিছনে বিরোধী দলগুলির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। এই নাশকতার জন্য তিনি বাম ও বিজেপিকে অভিযুক্ত করেছিলেন।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, রাজ্য পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী, কিছু মহিলা এবং ডেলিভারি কর্মী। রিপোর্ট অনুসারে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সৌমিক দাস, একজন জিম প্রশিক্ষক এবং টিএমসি কর্মী। তার পরিবার জানিয়েছে, সৌমিক দাস আবেগে কাবু হয়েছিলেন। আরেক অভিযুক্ত দেবাশীষ মণ্ডল স্থানীয় একটি মুদি দোকানে ডেলিভারি পারসন হিসেবে কাজ করেন। তার বাবা জানান, তার ছেলে বিক্ষোভে যোগ দিতে গিয়েছিল, কিন্তু সে ফিরে আসেনি।
১৯ বছরের ছাত্রী তুলসী হালদারের বিরুদ্ধেও ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের শেয়ার করা তার একটি ছবিতে তাকে হাসপাতালের জরুরি ভবনের ভেতরে তার হাতে একটি বাঁশ ধরে থাকতে দেখা যায়। তার মা বলেছিলেন যে তার পরিবার প্রতিবাদে যোগ দিতে গিয়েছিল, কিন্তু তার মেয়ে এতে আটকা পড়েছিল।
আর.জি. কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর এবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা পুলিশ। এই আদেশের পর এদিন থেকে ৭ দিনের জন্য ভারতীয় সিভিল ডিফেন্স কোড, ২০২৩-এর অধীনে ১৬৩ ধারা হাসপাতালের চারপাশে জারি করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সেখানে কোনো সভা, ধর্না বা সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
No comments:
Post a Comment