এএসআই অরূপ দত্তের ঘনিষ্ঠ অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়!
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা : গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে গণহত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। হত্যার ১১ দিন হয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ এখনও স্পষ্ট করেনি নির্যাতিতা ধর্ষণ নাকি গণধর্ষণের শিকার হয়েছে? তবে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ক্রমাগত বলে আসছেন, এ কাজ কোনো এক ব্যক্তির কাজ হতে পারে না। এ মামলায় এ পর্যন্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার কারণে ধারাবাহিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি এই মামলায় সিবিআইয়ের রাডারে রয়েছেন আরও অনেকে।
২০ আগস্ট, সঞ্জয় রায়ের ঘনিষ্ঠ এএসআই অরূপ দত্তকে সিবিআই তলব করেছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। যেখান থেকে তার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতে তাকে মিডিয়ার প্রশ্ন থেকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার চেষ্টা করা হলেই সে পালিয়ে যায় এবং সিবিআই অফিসে প্রবেশ করে। এখন সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে অরূপ দত্তের একটি ছবি সামনে এসেছে, যা দেখে বোঝা যাচ্ছে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে অরূপ দত্ত কতটা ঘনিষ্ঠ।
এএসআই অনুপ দত্তকে প্রায় আট ঘণ্টা জেরা করে সিবিআই। তার বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে। সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে এএসআই অরূপ দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি সঞ্জয় রায়কে হাসপাতালে দেখার অনুমতি দিয়েছিলেন কি না? তারা কখন অপরাধ আবিষ্কার করেছে? এর পাশাপাশি সিবিআই পুলিশ ব্যারাকের ফরেনসিক তদন্তও করেছিল যেখানে এই জঘন্য অপরাধ করার পর সঞ্জয় রায় ঘুমিয়েছিলেন।
যে ছবি বেরিয়েছে, এতে সঞ্জয় রায়কে সামনে সেলফি তুলতে দেখা যাচ্ছে এবং বিপরীত দিকে কালো টি-শার্টে এএসআই অরূপ দত্তকে দেখা যাচ্ছে। তবে তাদের দুজনের ছবিতেও দেখা যাচ্ছে অন্য মানুষদের। এই ছবিতে সঞ্জয় রায় এবং অরুণ দত্তের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। সঞ্জয় রায়কে ২০১৯ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গোষ্ঠীর জন্য সিভিল ভলান্টিয়ার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি সেখানে কাজ করেননি। তিনি কলকাতা পুলিশ কল্যাণ বোর্ডে কাজ শুরু করেন।
কলকাতার এই ঘটনায় অরূপ দত্তকে নিয়ে তদন্ত করেছিল সিবিআই। এফএসএল দল অরূপ দত্তের বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করেছিল। এ ঘটনায় একের পর এক নাম বেরিয়ে আসছে। সঞ্জয় রায় এবং অরূপ দত্ত ছাড়াও আরজি কর মেডিকেল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। তার বিরুদ্ধে এই জঘন্য অপরাধকে শুধু আত্মহত্যায় রূপান্তরিত করার চেষ্টাই নয়, ভিকটিমের পরিচয়ও প্রকাশ করার অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনার মাত্র চার দিন পরেই পদত্যাগ করেছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
No comments:
Post a Comment