সমুদ্রের গভীরে রহস্যময় জিনিসের সন্ধান - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Wednesday, 24 July 2024

সমুদ্রের গভীরে রহস্যময় জিনিসের সন্ধান

 


সমুদ্রের গভীরে রহস্যময় জিনিসের সন্ধান



ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৪ জুলাই : পৃথিবীতে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যার সম্পর্কে এমনকি বিজ্ঞানীরা এখনও খুঁজে বের করতে পারেননি।  এই কারণেই প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন আবিষ্কার আমাদের সামনে আসছে।  সমুদ্রের গভীরে এমনই এক আবিষ্কার হয় যেখান থেকে এমন কিছু বেরিয়ে এসেছে যা বিজ্ঞানীদেরও অবাক করেছে।  আসলে, প্রথমবারের মতো, বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের গভীরে অন্ধকার অক্সিজেন খুঁজে পেয়েছেন।  যা দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরাও।  প্রশ্ন উঠছে সমুদ্রের গভীরে যেখানে সূর্যের আলোও পৌঁছাতে পারে না সেখানে ভিন্ন ধরনের অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে।


 উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের ক্লারিওন ক্লিপারটন জোনে ধাতুর ছোট নোডুল পাওয়া গেছে।  এই নোডুলগুলি সম্পূর্ণভাবে সমুদ্রের তলদেশে ছড়িয়ে পড়ে।  আশ্চর্যের বিষয় হল এই লিলিগুলি তাদের নিজস্ব অক্সিজেন তৈরি করে, যাকে বিজ্ঞানীরা ডার্ক অক্সিজেন নাম দিয়েছেন।  ধাতু দিয়ে তৈরি এই বলগুলো অনেকটা আলুর মতো।  এই লিলিগুলি সম্পূর্ণ অন্ধকারে অক্সিজেন তৈরি করেছে।  এই কারণেই এখানে উৎপন্ন অক্সিজেনের নামকরণ করা হয়েছে 'ডার্ক অক্সিজেন', কারণ এখানে সূর্যের আলো পৌঁছয় না।


 স্কটিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেরিন সায়েন্স (এসএএমএস) এর বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু সুইটম্যানের মতে, তিনি যখন প্রথম এই তথ্যটি পান, তখন তিনি ভেবেছিলেন যে সেন্সরগুলি ব্যর্থ হয়েছে, কারণ সমুদ্রের তলদেশে কেউ কখনও এমন কিছু দেখেনি।  এটি এমন একটি জায়গা যেখানে সর্বদা মনে করা হত যে অক্সিজেন গ্রহণ করা হয় এবং উত্পাদিত হয় না।  অতএব, অন্ধকার অক্সিজেনের কথা যখন প্রকাশ্যে এল, তখন বিজ্ঞানীরাও অবাক হয়েছিলেন।  এর পর তা পুনরায় পরীক্ষা করা হয়।


 ১৩ হাজার ফুট গভীরে অন্ধকার অক্সিজেন আবিষ্কৃত হয়েছে, যেখানে কোন তরঙ্গ নেই।  এই জায়গায় সূর্যের আলো নেই।  অক্সিজেন প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয় না অর্থাৎ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে।  একটি পদ্ধতি হল অ্যামোনিয়ার জারণ।  এর থেকে অক্সিজেন নিঃসৃত হয়।  এই প্রথম যেখানে অন্ধকার অক্সিজেন আবিষ্কৃত হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad