সিগনেচার ব্রিজ ভেঙে পড়ল, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটল হাইওয়েতে
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ জুলাই : উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের রুদ্রপ্রয়াগের কাছে নারকোটায় নির্মাণাধীন উত্তরাখণ্ডের প্রথম সিগনেচার ব্রিজের এক প্রান্ত ভেঙে পড়েছে। সৌভাগ্যের বিষয় হলো যে সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে তখন পাশে কোনো শ্রমিক কাজ করছিল না। নইলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। রুদ্রপ্রয়াগ জেলা প্রশাসন এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের রুদ্রপ্রয়াগের কাছে নারকোটায় অল ওয়েদার প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ১১০ মিটার দীর্ঘ সিগনেচার ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের এটিই প্রথম সিগনেচার ব্রিজ তৈরি হচ্ছে নারকোটায়। ২০২১ সাল থেকে এই সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে।
এমনকি ২০২২ সালে, এর ভিত্তিটি ভেঙে পড়েছিল এবং দুর্ঘটনায় ৩ জন শ্রমিক মারা গিয়েছিল। এরপর সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত গতি পায় এবং চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা করা সম্ভব হয়নি। ধারাবাহিকভাবে সেতুটির নির্মাণ কাজ চললেও বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে হঠাৎ করে সেতুর এক প্রান্তের টাওয়ারটি ধসে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় সেতুতে কোনো শ্রমিক কাজ করছিল না।
সেতু নির্মাণের জন্য অর্থ দিয়েছে রেল বিকাশ নিগম। কারণ আগে যেখানে বদ্রীনাথ হাইওয়ে ছিল, সেখানে রেলওয়ে টানেল তৈরি করা হচ্ছে। টানেলের জায়গায় রেলওয়ে এই সেতুটি তৈরি করেছে। রেলওয়ে এই কাজটি শ্রীনগর জাতীয় সড়ক বিভাগকে দিয়েছিল এবং এনএইচ সেতুর কাজটি আরসিসি নামক নির্বাহী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করেছিল। এটি ছিল উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে নির্মিত প্রথম বাঁকা সেতু।
জেলা পঞ্চায়েত সদস্য নরেন্দ্র বিষ্ট ও ডেপুটি হেড নারকোটা কুলদীপ যোশী জানান, সিগনেচার ব্রিজ নির্মাণের কাজটি আরসিসি কোম্পানি করছে। এই সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই এর নির্মাণকাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রাথমিকভাবে সেতুর ভিত্তি নির্মাণের সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেও এর পরেও শিক্ষা নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া আরসিসি কোম্পানির উদ্যোগে যেখানেই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে সেখানেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোম্পানিটিকে কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে।
সাবডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট রুদ্রপ্রয়াগ আশিস ঘিলদিয়াল বলেছেন যে সেতুটি পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে। কী কারণে সেতুটি ভেঙে পড়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
No comments:
Post a Comment