বজ্রপাতের পর কি একজন মানুষের জীবন রক্ষা করা যায়?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৩ জুলাই : সারা বিশ্বে হাজার হাজার মানুষ বজ্রপাতের শিকার হয়। বজ্রপাতের ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই একজন মানুষের মৃত্যু হয়, অন্যদিকে প্রশ্ন ওঠে বজ্রপাতের পরও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে কি না? আর যদি হ্যাঁ, তাহলে এই ঘটনার পরও তিনি কি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন? চলুন আজ জেনে নেই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর-
আসলে, আমাদের বাড়িতে যে কৃত্রিম বিদ্যুৎ আসে তা ১২০ ভোল্টের। আমরা যদি মহাকাশীয় বিদ্যুতের কথা বলি, এটি ১০ কোটি ভোল্টের। একজন মানুষের পতনের পরেও বেঁচে থাকা কতটা কঠিন। কিন্তু এমন কিছু ঘটনা আছে যখন বজ্রপাতের পরও একজন মানুষের জীবন রক্ষা পায়।
একজন ব্যক্তি বেঁচে থাকলেও তার শরীরের ভয়াবহ ক্ষতি হয়। কয়েক বছর আগে কয়েকজন বিজ্ঞানী প্রকাশ করেছিলেন যে ৩ লাখ ভোল্টের বিদ্যুৎ যদি শরীরের সংস্পর্শে আসে তাহলে শরীরের কী হবে।
কোনো ব্যক্তির ওপর বজ্রপাত হলে তার শরীরে অনেক ভীতিকর চিহ্ন তৈরি হয়। গাছের শিকড়ের মতো শরীরে তৈরি হওয়া এই চিহ্নগুলিকে লিচটেনবার্গ বা বাজ গাছও বলা হয়। ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটি অফ অ্যাক্সিডেন্ট প্রিভেনশন এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর সারা বিশ্বে অন্তত ২ হাজার মানুষ বজ্রপাতে মারা যায়।
একই সময়ে, যখন একজন ব্যক্তি বজ্রপাতের দ্বারা ধাক্কা দেয়, তখন ত্বকের নীচে উপস্থিত টিস্যু এবং স্নায়ুতে স্নায়ুতে স্রোত এবং তাপ দ্রুত ভ্রমণ করে। এই স্রোত শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। এই কারণে, শিরা এবং টিস্যু ফেটে যায় এবং ত্বকে অদ্ভুত আকৃতি তৈরি হয়। সেই সঙ্গে বজ্রপাত প্রথমে শরীরের উপরের অংশে স্পর্শ করলে চোখের পুতুলও ফেটে যায়। বৈদ্যুতিক শক পাওয়ার পরও একজন ব্যক্তি বেঁচে গেছেন এমন ঘটনা খুব কমই আছে। কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি বেঁচে গেলেও সারাজীবনের জন্য সে প্রতিবন্ধী বা অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া বজ্রপাতের কারণে স্মৃতিশক্তি হ্রাস, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অসাড় হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যর্থ হওয়া বা পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাকের মতো গুরুতর সমস্যাও হতে পারে।
No comments:
Post a Comment