শ্রী কালারাম মন্দির, এখানে ভগবান রাম খর ও দুষণকে বধ করেছিলেন
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০২ জুন : এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান রাম তার ১৪ বছরের বনবাসের বেশিরভাগ সময় পঞ্চবটিতে কাটিয়েছিলেন। এই স্থানেই ভগবান রাম তার মা সীতা ও ভাই লক্ষ্মণের সাথে বনের মধ্যে একটি কুঁড়েঘর তৈরি করে বসবাস করতেন। এই স্থান সম্পর্কিত অনেক পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। বর্তমানে এই স্থানটি নাসিক শহর নামে পরিচিত। এই সেই জায়গা যেখানে ভগবান রাম খর ও দুষণের মতো রাক্ষসকে বধ করেছিলেন, এরপর রাবণ মা সীতাকেও এখান থেকে অপহরণ করেছিলেন। বর্তমানে এখানে রামের একটি বিশাল মন্দির রয়েছে যার নাম কালারাম মন্দির।
কালারাম মন্দিরের বিশেষত্ব চলুন জেনে নেই-
পঞ্চবটিতে অবস্থিত শ্রী কালারাম মন্দির ধর্মীয় বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু। এই মন্দিরটি কালো পাথর দিয়ে তৈরি। কালারাম মন্দিরে রামের কালো মূর্তি স্থাপিত। মন্দিরে মাতা সীতা, লক্ষ্মণ এবং হনুমানের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। বাল্মীকি রামায়ণের অরণ্যকাণ্ডে পঞ্চবটির সুন্দর বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়াও আরও কিছু গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, বনবাসের সময় শ্রী রাম, সীতা ও লক্ষণ কুঁড়েঘর বানিয়ে পঞ্চবটি এলাকায় বসবাস শুরু করেন। গোদাবরী নদীর তীরে পঞ্চবটির পুরো এলাকাটি একটি মনোরম স্থান।
খর ও দুষণের হত্যা:
রামায়ণের কাহিনিতে উল্লেখিত রাম ও খর-দুষণের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল এই স্থানে। খর ও দুষণ ছিলেন লঙ্কাপতি রাবণের ভাই। এখানেই লক্ষ্মণ শূর্পণখার নাক কেটে দিয়েছিলেন, যার প্রতিশোধ নিতে রামের সাথে খর এবং দুষণের যুদ্ধ হয় যাতে রাম নিহত হয়। এরপর মা সীতাকে অপহরণ করা হলে পঞ্চবটির পথে রাম জটায়ুর সাথে দেখা করেন।
এই পৌরাণিক কাহিনী বিখ্যাত:
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মন্দির সম্পর্কিত আরেকটি গল্প জনপ্রিয়। ১৪ বছরের বনবাসের সময় ভগবান রাম যখন পঞ্চবটিতে এসেছিলেন, তখন ঋষিরা তাঁকে রাক্ষসদের ক্রোধ থেকে মুক্ত করার জন্য তাঁর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। তখন ভগবান রাম তাদের প্রার্থনা স্বীকার করে কালো রূপ ধারণ করেন এবং তাদের সেই অসুরদের হাত থেকে মুক্ত করেন। আজও মন্দিরের গর্ভগৃহে শ্রী রাম, মাতা সীতা, লক্ষ্মণ এবং হনুমানের কালো মূর্তি রয়েছে।
No comments:
Post a Comment