কোরবানির গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৬ জুন :মুসলিম সমাজের প্রধান উৎসব, ঈদ উল আযহা ( বকরী ঈদ) চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ১৭ বা ১৮ জুন উদযাপিত হবে। বকরী ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানী ভোপাল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন কোরবানির জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। ১৪ দফা নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, শুধু তাঁবু লাগিয়ে বা ঢেকে রেখেই কোরবানি করা যাবে, এর পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নিতেও বলা হয়েছে।
মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে, প্রশাসন পশু জবাইয়ের জন্য ৪৩ টি স্থান চিহ্নিত করেছে, যেখানে পশু কসাইখানা তৈরি করা হবে। এই ৪৩টি স্থানের অনুমোদন রয়েছে ১৭ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত। এসব কসাইখানায় বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোরবানি দেওয়া যায়।
প্রশাসনের তরফে জারি করা নির্দেশিকাতে এটাও স্পষ্ট করা হয়েছে যে, কোরবানি সংক্রান্ত কোনো ভিডিও বা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা যাবে না। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ডেপুটি কমিশনার যোগেন্দ্র প্যাটেলের জারি করা ১৪-দফা নির্দেশিকাতে স্পষ্টভাবে লেখা আছে যে শুধুমাত্র তাঁবু বসিয়ে পশু জবাই করা যাবে। কর্পোরেশন অবিলম্বে পশুর সাথে স্থান থেকে পশুর বর্জ্য অপসারণ এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে বলেছে।
এগুলো কোরবানির নির্দেশিকা:
- পশু জবাই করার স্থানগুলিকে চারদিক থেকে ঢেকে রাখতে হবে।
- কুরবানী শুধুমাত্র তাঁবু লাগিয়ে বা ঢেকে দিয়ে করা যায়।
- সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় পশু জবাইয়ের ভিডিও আপলোড করবেন না।
- নিষিদ্ধ প্রাণী হত্যা করবেন না।
- পশু জবাই করার পর মাংস ঢেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে।
- বিকাল ৪টার পর কোরবানি করা যাবে না।
- পশু জবাইয়ের স্থানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নিতে হবে।
No comments:
Post a Comment