হজের সময় পাথর মারার রীতি
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৫ জুন : হজযাত্রা আজকাল বেশ আলোচনায়। সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মুসলমান এই ধর্মীয় তীর্থযাত্রার জন্য সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে পৌঁছান। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই সময়ে একটি আচারও করা হয় যাকে বলা হয় শয়তানকে পাথর মারা। হজযাত্রীরাও এটি অনুসরণ করলেও এর পেছনের কারণ অনেকেই জানেন না। তাহলে চলুন আজকে জেনে নেই এই যাত্রায় কারা এবং কেন হজযাত্রীরা পাথর ছুড়ে মারে-
হজ যাত্রার তৃতীয় দিনে শয়তানকে পাথর মারার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। পাঁচ দিনব্যাপী হজযাত্রার তৃতীয় দিনেও বকরিদ উদযাপিত হয়। বকরিদের দিন হজযাত্রীরা কোরবানি দেওয়ার আগে মিনা শহরে যান এবং সেখানে শয়তানকে তিনবার পাথর নিক্ষেপ করেন। হজযাত্রীরা শয়তানের দিকে যে পাথর নিক্ষেপ করে তা মিনা শহরের তিনটি ভিন্ন স্থানে নির্মিত তিনটি ভিন্ন স্তম্ভে নিক্ষেপ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম স্তম্ভটিকে জামরাহে উকওয়া, দ্বিতীয় স্তম্ভটিকে জামরাহে উস্তা এবং তৃতীয় স্তম্ভটিকে জামরাহে উলা বলা হয়।
ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে হজযাত্রীরা যে তিনটি স্থানে পাথর নিক্ষেপ করেন, সেখানে হজরত ইব্রাহিম তার ছেলেকে কোরবানি করতে গেলে শয়তান তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। হাজীরা এই স্তম্ভগুলোকে শয়তানের প্রতীক মনে করে পাথর নিক্ষেপ করে। প্রথম দিন, তীর্থযাত্রীরা কেবল বড় স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপ করে। এর পরে, পরের দিনগুলিতে আরও দুবার পাথর নিক্ষেপের অনুষ্ঠান হয়।
হজযাত্রার সময় হজযাত্রীদের অনেক নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে মেনে চলতে হয়। এই সফরে অংশগ্রহণের প্রথম নিয়ম হলো, মুসাফিরকে অবশ্যই মুসলিম হতে হবে। দ্বিতীয় নিয়ম হল এই সফরে যাত্রীদের ইহরাম বাঁধতে হবে। এছাড়া এই যাত্রায় নারীরা অংশ নিলে তাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক। পুরুষ হজযাত্রীরা সাদা ইহরাম পরেন, যা এক ধরনের সেলাইবিহীন সাদা কাপড়, আর মহিলা হজযাত্রীদের সাদা বা কালো বোরখা পরতে হয়।
No comments:
Post a Comment