প্রতি বছর এই দিনে পালিত হয় 'বিশ্ব দুধ দিবস', জেনে নিন এর ইতিহাস
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩১ মে : দুধ পানে শরীরে শক্তি আসবে। ছোটবেলায় বাড়িতে এই লাইনটি নিশ্চয়ই সবাই শুনেছি। কারণ দুধ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এদেশে দুধ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। দুধের এই গুরুত্বকে সামনে রেখে প্রতি বছর ১লা জুন বিশ্ব দুধ দিবস পালিত হয়। আজ আমরা জানবো বিশ্ব দুধ দিবস কেন ১ জুন পালিত হয় এবং কোথা থেকে শুরু হয়-
বিশ্ব দুধ দিবসের ইতিহাস:
দুধ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতি বছর ১লা জুন বিশ্ব দুধ দিবস পালিত হয়। এই দিবসটি উদযাপন শুরু হয় ২০০১ সালে, যখন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বিশ্ব দুধ দিবস প্রতিষ্ঠা করে। দুধ দিবস পালনের পেছনের কারণ হল দুধের উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে জানানো। দুধ পান শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারী। চিকিৎসকরাও অনেক সময় শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে দুধ পান করার পরামর্শ দেন। কারণ দুধে অনেক ধরনের ভিটামিন ও প্রোটিন পাওয়া যায়।
বিশ্ব দুধ দিবস কেন পালিত হয়?:
দুধ দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল দুধের উপকারিতা মানুষকে জানানো। এই দিনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকেও জানানো হয় যে দুধ কীভাবে স্থানীয় অর্থনীতি ও সম্প্রদায়ের উপকার করে। FAO এর মতে, প্রায় ছয় বিলিয়ন মানুষ দুগ্ধজাত দ্রব্য খায়। এ ছাড়া দুগ্ধ ব্যবসা এক কোটিরও বেশি মানুষের জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করে।
বিশ্ব দুধ দিবসের থিম:
প্রতি বছর বিশ্ব দুধ দিবস একটি বিশেষ থিমে পালিত হয়। এই থিমের মাধ্যমেই বিশ্ব দুধ দিবসে সারা বিশ্বের মানুষকে সচেতন করা হয়। গত বছরের ২০২৩ এর থিম ছিল কীভাবে এটি পুষ্টিকর খাদ্য এবং জীবিকা প্রদানের সময় পরিবেশগত পদচিহ্নগুলি হ্রাস করছে।
জাতীয় দুগ্ধ দিবস:
ভারতে প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর জাতীয় দুধ দিবস পালিত হয়। ভারতে, এই দিনটি ডাঃ ভার্গিস কুরিয়েনের জন্মদিন উপলক্ষে পালিত হয়, যাকে ভারতে শ্বেত বিপ্লবের জনকও বলা হয়। তিনি 'মিল্ক ম্যান' নামেও পরিচিত। এটি উল্লেখযোগ্য যে ১৯৭০ সালে শ্বেত বিপ্লব শুরু করেছিলেন কুরিয়ান। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দুধ উৎপাদনের প্রচার করা। ডাঃ ভার্গিস কুরিয়েন ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ সময় তিনি দেশের প্রতিটি কোণায় দুধ উৎপাদন প্রচারের চেষ্টা করেন। তার প্রচেষ্টার কারণেই ভারত আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম দুধ উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment