পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের সপ্তম দরজা রহস্য
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৬ মে : প্রতিটি মন্দিরই তার অনন্য বিশেষত্বের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। কিন্তু কিছু মন্দির আছে যা তাদের রহস্যের কারণে পরিচিত। যার মধ্যে একটি হল পদ্মনাভস্বামী মন্দির। এই মন্দিরটিকে ভারতের অন্যতম ধনী মন্দির বলে মনে করা হয়।
পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের বিশেষত্ব:
কেরালার ত্রিভান্দ্রমের পদ্মনাভ স্বামী মন্দিরের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হল এটিকে ভারতের সবচেয়ে ধনী মন্দির বলে মনে করা হয়। মন্দিরের কোষাগারে রয়েছে হীরা, সোনার অলঙ্কার এবং সোনার তৈরি মূর্তি। জানা গেছে, মন্দিরের ৬টি ড্রয়ারে ২০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে। মন্দিরে মহাবিষ্ণুর মূর্তি সোনার তৈরি। মূর্তিটির আনুমানিক ব্যয় ৫০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ভগবানের হাজার হাজার সোনার চেইন রয়েছে। এর মধ্যে একটি সোনার চেইন ১৮ ফুট লম্বা। একই সময়ে, স্বয়ং ঈশ্বরের পর্দা ৩৬ কেজি সোনার।
৬ দরজা অনুসরণ করে প্রচুর সম্পদ:
এই মন্দিরের গোপন বেসমেন্টে লুকিয়ে আছে অঢেল সম্পদ। মন্দিরে ৭টি গোপন বেসমেন্ট রয়েছে এবং প্রতিটি বেসমেন্টের সাথে একটি দরজা সংযুক্ত রয়েছে। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে একের পর এক ছয়টি বেসমেন্ট খোলা হয়। যার মধ্যে লুকিয়ে ছিল অজস্র গুপ্তধন। মোট, ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সোনা এবং হীরার গয়না এখানে পাওয়া গেছে, যা মন্দিরের ট্রাস্টের কাছে রাখা ছিল।
সপ্তম দরজার রহস্য:
৬টি দরজা খোলার পর সপ্তম দরজা খোলা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সপ্তম দরজা খোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মন্দিরের সপ্তম দরজাটি কাঠের তৈরি। এই দরজায় একটি সাপের মূর্তি খোদাই করা ছিল। এতে দরজা খোলার চেষ্টা বন্ধ হয়ে যায়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দরজাটি সর্প, স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর অবতার পাহারা দিচ্ছে এবং এই দরজাটি খুললে কোনও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।
বিশেষ মন্ত্রে দ্বার খুলবে:
বিশ্বাস করা হয় যে মন্দিরের এই সপ্তম দরজাটি নির্দিষ্ট মন্ত্র উচ্চারণ করে বন্ধ করা হয়েছিল এবং এখন কেউ এটি খুলতে পারে না। দরজায় সাপের আকৃতি দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এটিকে অবশ্যই নাগ পাশমের মতো কোনো মন্ত্র দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে এবং এখন এটি গরুড় মন্ত্র উচ্চারণ করে খোলা যেতে পারে, তবে এটিও বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রগুলি এতটাই কঠিন যে তাদের উচ্চারণ কঠিন বা এমনকি পদ্ধতিতে সামান্য ভুলও মারাত্মক প্রমাণিত হতে পারে। এ কারণেই এখন পর্যন্ত কেউ খুলতে সাহস পায়নি।
No comments:
Post a Comment