পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কুণাল ঘোষকে
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা, ০১ মে : রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার রাজ্যের শাসক দল টিএমসি এক বিবৃতি জারি করে এই ঘোষণা করেছে। তিনি আরও বলেন, কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? বিবৃতিতে তৃণমূল কংগ্রেস লিখেছে, “সম্প্রতি কুণাল ঘোষ এমন অনেক কথা বলছেন যা দলের মতামতের সঙ্গে মেলে না। অতএব, তিনি যা বলছিলেন তা সম্পূর্ণরূপে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত ছিল তা স্পষ্ট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর সঙ্গে দলের ভাবনার কোনো সম্পর্ক নেই। তৃণমূল বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছে যে কুণাল ঘোষকে এর আগেও দলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।” এ বার তাঁকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কুণাল ঘোষ বুধবার সকালে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা এবং বর্তমান বিজেপি উত্তর কলকাতা প্রার্থী তাপস রায়ের প্রশংসা করেছিলেন। বুধবার উত্তর কলকাতার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ক্লাবের রক্তদান শিবিরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দুজনকেই। তিনিও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তাপস রায়ের উপস্থিতিতে কুণাল ঘোষ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “তাপস রায় যতদিন জনপ্রতিনিধি ছিলেন, ততদিন তিনি মানুষের সেবা করেছেন। মানুষের জন্য তার দরজা দিনরাত খোলা থাকত। লোকেরা যখন তাকে ডেকেছিল, সে অবশ্যই তাদের সাথে দেখা করেছিল। জাল ভোট যেন না হয়।
কুণাল ঘোষের দাবি অনুযায়ী, ক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে গিয়ে দেখেন তাপস রায়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘটনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কুণাল বলেন, 'রাজনীতির বদলে রাজনীতি থাকুক।' আমরা তাপস দাকে আমাদের পরিবারে রাখার চেষ্টা করেছি, কারণ তাপস দা আমাদের প্রিয়। তাপস দা'র দরজা সব সময় সব মানুষের জন্য খোলা। তাপস দা অতীতে যেভাবে জনগণের সেবা করেছেন তাতে তিনি এখন একজন বড় রাজনীতিবিদ। দুর্ভাগ্যক্রমে, এখন আমরা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাপসের বিপরীত চিত্র দেখতে পাচ্ছি। আমাদের দলের প্রার্থীরাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরপরই সাংবাদিক সম্মেলন করেন কুনাল। সেখানে তিনি উত্তর কলকাতার টিএমসি প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই কথা বলতে গিয়ে আবারও তাপস রায়ের প্রশংসা করলেন কুণাল ঘোষ। তাপস রায়ের কুণাল ঘোষের প্রশংসা বাংলার রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তার পরেই কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল কংগ্রেস এবং কুণাল ঘোষকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
No comments:
Post a Comment