ব্ল্যাক ফরেস্ট কেকের নাম কীভাবে হল?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩১ মে : কারও জন্মদিন হোক বা পার্টি, ব্ল্যাক ফরেস্ট কেক সবার প্রথম পছন্দ। এমন পরিস্থিতিতে এই কেকের নাম ব্ল্যাক ফরেস্ট কীভাবে পেল জানেন? তো চলুন জেনে নেই এই গল্প-
ব্ল্যাক ফরেস্ট প্রায় সবারই প্রথম পছন্দ, এর আশ্চর্য স্বাদ সবাইকে আকৃষ্ট করে। এর নামের পেছনেও রয়েছে মজার গল্প। এই কেকটি ১৫০০ এর দশকে খুঁজে পাওয়া গেছে বলে মনে করা হয়, যখন চকোলেট প্রথম ইউরোপে পাওয়া যায়। এটি জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্টে তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যায়, যা তার টক চেরি এবং কির্শওয়াসার (চেরি থেকে তৈরি একটি ব্র্যান্ডি) জন্য পরিচিত।
আরেকটি গল্প হল কেকটিকে 'ব্ল্যাক ফরেস্ট' বলা হয় কারণ এটি সেখানে তৈরি করা হয়নি, কিন্তু কেকটিতে ব্যবহৃত চেরিগুলি ঐতিহ্যবাহী জার্মান টুপিগুলিতে লাল পম-পোমসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বলেই এই নামটি ব্ল্যাক ফরেস্ট রাখা হয়েছিল। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে 'ব্ল্যাক ফরেস্ট' নামটি একটি অন্ধকার, ছায়াময় বনের প্রতীক, যা সত্য বলেও মনে হয়।
ব্ল্যাক ফরেস্ট কোথায়:
পৃথিবীতে অনেক আশ্চর্যজনক জায়গা আছে, তার মধ্যে একটি হল ব্ল্যাক ফরেস্ট। এই বন যেমন সুন্দর তেমনি রহস্যে ভরা। এই বনের গাছগুলো এতই ঘন যে মাটিতে সূর্যের আলোও পৌঁছাতে পারে না। খুব সুন্দর এই বনটি জার্মানিতে অবস্থিত। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৮৯৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এই ঘন কালো বন শুধু জার্মানির মানুষের জন্যই বিশেষ নয়, আশেপাশের মানুষের জন্যও বিশেষ। এই বনে গেলে দিনকেও রাত মনে হয়। এই কারণেই এই বনটি ব্ল্যাক ফরেস্ট নামে পরিচিত।
ইউরোপের সুইজারল্যান্ড:
কথিত আছে এই বন এতই সুন্দর যে একে ইউরোপের সুইজারল্যান্ডও বলা হয়। সুউচ্চ পাহাড়, ঘন বন, বড় বড় দেবদারু বা পাইন গাছ এবং হ্রদ ও জলপ্রপাত এই বনের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। এই বনে কিজিং নদী পাহাড় এবং গাছের ছায়ায় সুন্দরভাবে বয়ে চলেছে, যা দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
No comments:
Post a Comment