সন্দেশখালিতে খোলা হল সিবিআই ক্যাম্প অফিস
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা, ১৭ মে : সন্দেশখালিতে মহিলাদের হয়রানি এবং ভয় দেখানোর অভিযোগের মধ্যে, সিবিআই আধাসামরিক বাহিনীর সাথে সহযোগিতায় একটি ক্যাম্প অফিস খুলেছে। সূত্রের খবর, সন্দেশখালি মামলায় হাইকোর্ট সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল ভুক্তভোগীদের ভয় দূর করতে এবং নির্ভয়ে তাদের প্রতি অবিচারের কথা খোলাখুলিভাবে জানাতে।
একই আদেশের অধীনে, সিআরপিএফ-এর সহযোগিতায় সিবিআই সন্দেশখালিতে একটি ক্যাম্প অফিস খুলেছে, যাতে সেখানে বসবাসকারী লোকেরা কোনও ভয় ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ করতে পারে।
সূত্রের খবর, ধামাখালি ঘাট সংলগ্ন একটি সরকারি ব্যাঙ্কের নীচে সিবিআইয়ের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস খোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরাও ওই ক্যাম্প অফিস থেকে কাজ শুরু করেছেন। লিখিত অভিযোগ দায়ের ছাড়াও সিবিআই অফিসারদের একটি দল রামপুর এলাকায় গিয়ে অনেক গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে সিবিআই ইমেল আইডি জারি করেছিল এবং আইডির মাধ্যমে অভিযোগ সংগ্রহ করছিল। নিজাম প্যালেস থেকে বারবার সন্দেশখালিতে আসেন সিবিআই অফিসাররা।
এমন পরিস্থিতিতে সময়ের অপচয় বন্ধ করতে এবং তদন্ত প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে ধামাখালি ঘাটের কাছে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস খুলেছে সিবিআই। এতে গ্রামবাসীর পাশাপাশি সিবিআইও লাভবান হয়। অনেক সময় গ্রামের সাধারণ মানুষকে ইমেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে, কীভাবে ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ করতে হবে তা নিয়ে তিনি অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস চালু হওয়ায় গ্রামবাসীর এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন থেকে তারা সরাসরি এই অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে লিখিত অভিযোগ দিতে পারবেন। শুক্রবারও সিবিআই দল রামপুর এলাকা পরিদর্শন করে এবং ইমেলের মাধ্যমে প্রাপ্ত অভিযোগ সম্পর্কে গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে।
সূত্র অনুসারে, ভোট-পরবর্তী সহিংসতার মামলায় আদালত ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে NBW (অ-জামিনযোগ্য পরোয়ানা) জারি করেছিল। সেই এনবিডব্লিউদের গ্রেফতার ও গ্রেফতার করতে পশ্চিমবঙ্গের ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। অভিযুক্তরা সকলেই টিএমসির সাথে যুক্ত এবং সহিংসতার পর থেকে পলাতক ছিল। এই লোকদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও দাখিল করেছে সিবিআই।
No comments:
Post a Comment