জানেন কী আগ্নেয়গিরির সুড়ঙ্গগুলো পৃথিবীর কত গভীরে যায়?
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৭ এপ্রিল : আগ্নেয়গিরির নাম শুনলেই আমরা ভয় পেয়ে যাই। কারণ আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসা লাভা এর থেকে শত শত কিলোমিটার দূরের এলাকা ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। আপনি কি জানেন পৃথিবীর কত কিলোমিটার গভীরে আগ্নেয়গিরির টানেল যায়? আজ আমরা জানবো আগ্নেয়গিরির টানেলটি কত কিলোমিটার গভীরে তার পথ তৈরি করে-
কখন এবং কেন একটি আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত হয়:
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়। আগ্নেয়গিরি হল এক ধরণের পর্বত, যার নীচে প্রচুর গলিত লাভা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রচুর পরিমাণে ভূ-তাপীয় শক্তি রয়েছে। এমন অবস্থায় এই শক্তির কারণে পাথর গলে লাভায় পরিণত হয়। এই লাভা যখন ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করে, তখন পর্বতটি ফেটে যায় এবং একে আগ্নেয়গিরি বলা হয়। বিজ্ঞানের মতে, যখন পৃথিবীর অভ্যন্তরে টেকটোনিক প্লেটগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে ঘষে, তখন সেখান থেকে উৎপন্ন শক্তি পাথর গলে যায়। এর পরে এই গলিত পাথর এবং গ্যাসগুলি ঊর্ধ্বমুখী চাপ তৈরি করে, যার কারণে পর্বতটি ফেটে আগ্নেয়গিরিতে পরিণত হয়।
আগ্নেয়গিরির টানেল:
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর সুড়ঙ্গটি কতটা গভীরে পৌঁছাতে পারে সে বিষয়ে কোনো দাবি করা যাবে না। কারণ আগ্নেয়গিরি যত বেশি শক্তিশালী হবে, সেখান থেকে তত বেশি লাভা বের হবে এবং আরও দূরে যাবে। সহজ ভাষায়, আগ্নেয়গিরির পর্বত যত বেশি শক্তিশালী, তাতে লাভা তত বেশি থাকে, এটি তার চাপ দিয়ে একটি টানেল তৈরি করতে পারে। এটি ১০ কিলোমিটার, ৩০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে। সেই সঙ্গে সেই পাহাড়ের ওপর চাপ পড়লে তা বিস্ফোরিত হবে, যার ফলে সেখান থেকে সমান পরিমাণ লাভা বেরিয়ে আসবে।
সুপার আগ্নেয়গিরি:
শুধুমাত্র শক্তিশালী এবং বড় আগ্নেয়গিরিকে সুপার আগ্নেয়গিরি বলা হয়। সহজ ভাষায়, একটি আগ্নেয়গিরি যেটি এক জায়গায় ২৪০ কিউবিক মাইলেরও বেশি উপাদান বিস্ফোরিত হয় তাকে সুপার আগ্নেয়গিরি বলে। তথ্য অনুযায়ী, শেষবার এত বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল ১৫৩৮ সালে। এই বিস্ফোরণটি এতটাই বিপজ্জনক ছিল যে এর কারণে নেপলস উপসাগরে একটি নতুন পর্বত তৈরি হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment