কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্যে তোলপাড়
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা, ০৫ এপ্রিল : কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেছেন যে কোনও তৃণমূল সমর্থককে CAA (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) এর অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। শান্তনু ঠাকুর পাঁচপোতায় নির্বাচনী সভায় বলেছিলেন, “আমরা তৃণমূলের একজনকেও নাগরিকত্ব দেব না। আমি কোনো তৃণমূলকে নাগরিকত্ব দেব না। তারপর দেখাব খৈয়াম নাচ কাকে বলে।"
তার মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের মধ্যে মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেছিলেন যে সিএএ-র বিরোধিতাকারী লোকেরা যদি নাগরিকত্ব চাইতে আসে, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৭১ সালের আইন অনুসারে তাদের নাগরিকত্ব দিতে পারেন, তবে তাদের নাগরিকত্বের দরকার নেই, তাহলে সরকার কেন দেবে? তাদের নাগরিকত্ব দিতে যাবে?
শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু বলেছেন, “তিনি যাই বলেন, কিছুই ঠিক নয়। তিনি নিজেই বলেছিলেন যে সিএএ কার্যকর হওয়ার পরে, তিনি প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন। তিনি এখনো সেই আবেদন করেননি। কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালের ওপরই আস্থা রাখেন না কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তিনি বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি ভালোভাবে আয়ত্ত করেছেন।
বাংলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি এবং লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “সরকার সবার জন্য। সকলের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করি। আজ তৃণমূল করছে, কাল বিজেপি করবে। সরকার সকলের অধিকার রক্ষা করবে। শান্তনুর মন্তব্য নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
একজন মতুয়া সমর্থক বলেছেন যে তিনি শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্য সমর্থন করেন না। মতুয়া হিসেবে তিনি যা বলছেন তা ঠিক নয়। আমরা নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দাবি করছিলাম। মতুয়াকে নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছেন শান্তনু ঠাকুর।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের অধীনে, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও তৃণমূল কংগ্রেস এর বিরোধিতা করছে।
No comments:
Post a Comment