হোলিতে রঙের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে এই বন্দুক
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৪ মার্চ : রঙের উৎসব হোলির আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। দেশ ও বিশ্বের মানুষ এই উৎসব উদযাপন উপভোগ করে। এ কারণেই শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি বয়সের মানুষ এই উৎসবটি অত্যন্ত উৎসাহের সাথে উদযাপন করে এবং একে অপরের সাথে রঙ খেলে।
এর প্রস্তুতি ও কেনাকাটাও করা হয় আগাম। হোলির এই বর্ণাঢ্য উৎসবে প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই রঙ, পিচকারি, টুপি, মুখোশ ইত্যাদিতে বাজার ভরে যায়। একই সঙ্গে ক্রেতাদেরও ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাজারগুলোতে।
রং, স্প্রে এবং বিভিন্ন ধরনের পিচকারি পশ্চিম দিল্লির বৃহত্তম পাইকারি বাজার হস্তসাল এবং এশিয়ার বৃহত্তম বাজারগুলির মধ্যে একটি সদর বাজার সহ দিল্লির বিভিন্ন বাজারে ব্যাপকভাবে কেনা হচ্ছে। এবার যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে এবং ব্যাপক চাহিদা রয়েছে তা হল ইলেকট্রিক পিচকারি যা এবার বাজারে নতুন। ছোট-বড় সবার মধ্যেই এই পিচকারির ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পিচকারির বিশেষত্ব হল এটি চার্জযোগ্য এবং প্রায় আধ ঘন্টা চার্জ করার পরে এটি প্রায় ছয় ঘন্টা ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজারে এর চাহিদা অনেক।
হস্তসালের পাইকারি বিক্রেতা অরুণ আগরওয়াল বলেন, এবার ইলেকট্রিক পিচকারির চাহিদা সবচেয়ে বেশি, যেখানে গত বছর হোলিতে প্রচুর স্প্রে বন্দুক বিক্রি হয়েছিল। জনকপুরীর ছোট সবজি বাজার ও হাতসাল রোডের শনি বাজারের অন্য দোকানিরা জানান, এবার পিচকারি, রং , মুখোশ, রং ও স্প্রে প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। এই সবের মধ্যে, বাজারে নতুন চালু হওয়া ইলেকট্রিক পিচকারির চাহিদা সবচেয়ে বেশি, কারণ হালকা ওজনের পাশাপাশি এটি দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। ইলেকট্রিক পিচকারির চাপ দেখলেই মানুষ তাৎক্ষণিক পছন্দ করে। বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকায়। অন্যান্য পিচকারির চেয়ে পাঁচগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী জিতেন্দ্র জানান, রঙিন বৈদ্যুতিক স্প্রিংকলার ছাড়াও রং সহ সিলিন্ডারও প্রচুর পরিমাণে কেনা হচ্ছে। গত দুই বছরে এর চাহিদা অনেক বেড়েছে। দোকানিদের মতে, বৃন্দাবনে গুলাল সিলিন্ডারের জনপ্রিয়তার পর দিল্লিতেও এটি বেশ পছন্দ করা হচ্ছে। বিভিন্ন রঙের এই সিলিন্ডারের ওজন ২ কেজি, ৪ কেজি এবং ৬ কেজি। ২ কেজির রং সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায় এবং চার কেজির সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়।
প্রায় ৩ মাস আগে এশিয়ার অন্যতম বড় বাজার সদর বাজারে অনেক বড় কোম্পানির রঙের সঙ্গে রঙিন ও অস্বাভাবিক পিচকারির বিক্রি শুরু হয়। সদর বাজারে উপস্থিত দোকানদার আসিফ জানান, এবার হাতুড়ি, স্নেক চারমারের বিন, ইলেকট্রনিক পিচকারিসহ রকেট লঞ্চার, ডালিম ও বিভিন্ন ওজনের ট্যাঙ্কার পছন্দ হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment