এদেশের সমুদ্র দু ভাগে ভাগ হবে, কেন জানেন?
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৯ মার্চ : মাসের শুরুটা কানাডার জন্য খুবই ভয়ঙ্কর ছিল। এখানকার উপকূলীয় এলাকায় একদিনে প্রায় দু হাজার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সমুদ্রে ম্যাগমা দ্রবীভূত হওয়ার কারণে সমুদ্র দুই ভাগে বিভক্ত হতে পারে। শুধু তাই নয়, এই প্রাকৃতিক বিচ্ছিন্নতার ফলে সমুদ্রের নতুন স্তর তৈরি হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এই মুহূর্তটি সামুদ্রিক বিজ্ঞানীদের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। আসন্ন কার্যকলাপ তথ্য দেবে কীভাবে সমুদ্রতলের বিচ্ছিন্নতা ঘটে?
ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপের উপকূল থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার দূরে এন্ডেভার সাইট নামে একটি জায়গা ছিল এই ভূমিকম্পের মূল কেন্দ্র। সমুদ্রের তলদেশে অনেক ফাটল রয়েছে। এই ফাটল থেকে গরম জলের স্রোত বের হয়।
এখান থেকে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পের কোনো আশঙ্কা নেই বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এই এলাকা সাবডাকশন জোন থেকে আলাদা। সাবডাকশন জোন হল সেই এলাকা যেখানে একটি টেকটোনিক প্লেট অন্য প্লেটের নিচে চাপা পড়ে।
সাগরের অভ্যন্তরে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। প্যাসিফিক প্লেট এবং জুয়ান ডি ফুকা প্লেট এন্ডেভার সাইটের কাছাকাছি সরে যাচ্ছে। যখন ম্যাগমা পাতলা ভূত্বক ভেদ করে সমুদ্রের অভ্যন্তরে চলমান আন্দোলনের মধ্যে পৃষ্ঠে পৌঁছায়, তখন এটি জলের সংস্পর্শে আসে এবং শীতল হয়ে যায়। এভাবে সমুদ্রের তলদেশে নতুন স্তর তৈরি হচ্ছে।
২০১৮ সাল থেকে, কানাডার উপকূলীয় অঞ্চল ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত ৬ মার্চ এখানে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২০০টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। গবেষকদের মতে, একদিনে প্রায় ১৮৫০টি ভূমিকম্প হয়েছে। তবে এই ভূমিকম্পগুলো খুব একটা ক্ষতিকর ছিল না।
No comments:
Post a Comment