এই গুহার ভেতরে রয়েছে সোনার ভান্ডার
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ মার্চ : ভারত একসময় সোনার পাখি ছিল, কিন্তু বাইরের অনেক শাসক এবং ব্রিটিশরা তা লুট করে অনেক। গুহায় সোনার মজুদ থেকে ভারতে সোনার মজুদ অনুমান করা যায়। প্রকৃতপক্ষে, ভারতে সোনার মজুদের একটি গুহা ছিল, যেটিতে অনেক ব্রিটিশ অফিসার প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। বেশ কয়েকবার বিস্ফোরণও চালানো হয়। কিন্তু তিনি সফলতা অর্জন করতে পারেননি। সেখান থেকে সোনা তোলা প্রায় অসম্ভব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই গুহা সম্পর্কে বলা হয় এখানে একটি রহস্যময় দরজা রয়েছে, যা আজ পর্যন্ত কেউ খুলতে পারেনি। অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল এটি খোলার, কিন্তু সব ব্যর্থ হয়েছে। এই সোনার গুহা বিহারের রাজগীরে অবস্থিত একটি গুহার ভিতরে রয়েছে বলে মনে করা হয়। মগধ সাম্রাজ্যের সম্রাট অর্থাৎ মৌর্য শাসক বিম্বিসার একটি অমূল্য ধন লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে অনেক কাহিনী রয়েছে। যা আজ পর্যন্ত কেউ ধরতে পারেনি। এটি 'পুত্র ভান্ডার' নামেও পরিচিত।
ইন্টারনেটে পাওয়া অনেক রিপোর্ট অনুসারে, আপনি সোন ভান্ডারের গুহায় প্রবেশ করার সাথে সাথেই আপনি প্রথমে একটি বড় ঘর দেখতে পাবেন। কথিত আছে যে এই বিশাল কক্ষটি কোষাগার পাহারা দিতেন সৈন্যদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, যেখান থেকে তারা পাহারা দিতেন। একই ঘরের পেছনে দেয়ালের কাছে গুপ্তধন পৌঁছানোর পথ আছে। যার প্রধান ফটক পাথর দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ সেই দরজা খুলতে পারেনি।
ব্রিটিশ প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়:
গুহার এক দেয়ালে শঙ্খ লিপিতে কিছু লেখা আছে। যা আজ পর্যন্ত কেউ পড়তে পারেনি। এতে রাজকোষের দরজা খোলার পদ্ধতি লেখা আছে বলে কথিত আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বের মানুষ এই লিপি পড়তে ব্যর্থ হয়েছে। কথিত আছে, ব্রিটিশরা একবার কামান দিয়ে রাজকোষের দরজা ভাঙার চেষ্টা করলেও তা ভাঙতে পারেনি। দরজার পাথরে এখনও কামানের গোলার চিহ্ন রয়েছে।
No comments:
Post a Comment