হাঙ্গেশ্বরী মন্দিরের বিশেষত্ব
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৪ মার্চ : এদেশে অনেক দেবদেবীর মন্দির রয়েছে যার সাথে অনেক পৌরাণিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ গল্প জড়িত। প্রতিটি মন্দিরের কিছু গল্প বা বিশেষত্ব রয়েছে যা একে অন্যান্য মন্দির থেকে আলাদা করে তোলে। এমনই একটি মন্দির হলবাংলায় হাঙ্গেশ্বরী মন্দির যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী তার দুই দিনের সফরে এই মন্দিরটি দেখতে যাচ্ছেন।
মা দুর্গার আরাধনা হয় মহা আড়ম্বরে। এছাড়া এখানে পালিত দুর্গাপূজার উৎসবও সারাদেশে বিখ্যাত। এটি কলকাতা থেকে প্রায় 50 কিলোমিটার দূরে হুগলি জেলার বাঁশি বেড়িয়ায় অবস্থিত। এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন নৃসিংহদেব রায়, এরপর তাঁর স্ত্রী রানি শঙ্করী মন্দিরের নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
হাঙ্গেশ্বরী মন্দিরকে হংসেশ্বরী মন্দিরও বলা হয়। এই মন্দিরটিও মা কালীকে নিবেদিত। এই মন্দিরটি ১৯ শতকের স্থাপত্যের প্রতিফলন করে নির্মিত হয়েছে। এই মন্দিরটি ২১ মিটার উঁচু এবং 13টি মিনার রয়েছে। প্রতিটি টাওয়ারের চূড়া পদ্মফুলের আকারে। তান্ত্রিক নীতি অনুসারে নির্মিত এই পাঁচতলা মন্দিরটি মানবদেহের গঠন অনুসরণ করে। এখানে নবরাত্রির দিনগুলোতে ঋষি ও সাধুরা তন্ত্র সাধনা করেন। মন্দিরের প্রতিটি স্তম্ভের উপরের অংশে পদ্মের মতো আকৃতি দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের অভ্যন্তরে প্রত্নবস্তুগুলি মানব জীবনের বিভিন্ন স্তরকে চিত্রিত করে। হাঙ্গেশ্বরী মন্দির বাঁশবেড়িয়ায় অবস্থিত।
হাঙ্গেশ্বরী মন্দিরটি মা কালীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এই মন্দিরের মূর্তি সম্পর্কে একটি বিশেষ জিনিস রয়েছে যা অন্যান্য মন্দিরের মূর্তি থেকে আলাদা।আসলে এই মূর্তিটি নীল নিম কাঠের খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে। যা একটি পদ্ম স্ট্যান্ডে রাখা হয়। এই কাঠামোর মোট উচ্চতা ২১ মিটার পর্যন্ত বলা হয়।
এই মন্দিরে শিব এবং শক্তি উভয়ই উপস্থিত, তাই এই মন্দিরকে হাঙ্গেশ্বরী বলা হয়। এই ছয়টি ত্রিভুজাকার মার্বেলের উপর পড়ে আছে। শক্তির মূর্তি নীল নিম কাঠের তৈরি, ভগবান শিবের শিবলিঙ্গ সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি।
No comments:
Post a Comment