'হলুদ সোনা' সংগ্রহের খোঁজে আদিবাসীরা
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২২ মার্চ : বলরামপুর জেলার জঙ্গলে পড়তে শুরু করেছে হলুদ সোনা নামক মহুয়া ফুল। মহুয়ার গন্ধে বনের পরিবেশ সুগন্ধি হয়ে উঠেছে। আদিবাসী গ্রামবাসীরা সকালে ঝুড়ি নিয়ে বের হচ্ছে ফুল কুড়াতে।
মহুয়া গ্রামীণ আদিবাসীদের আয়ের প্রধান উৎস। বর্তমানে সরকার সমর্থন মূল্যে ক্রয় করছে। মহুয়ার ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। মহুয়া সংগ্রহের জন্য আদিবাসীদের মধ্যে উৎসাহ রয়েছে।
আদিবাসী এলাকায় মহুয়া ফুল মদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আদিবাসীরা দেশি মদ থেকে ভালো আয় করে। আদিবাসী সংস্কৃতিতে মহুয়া মদ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি বনবাসীদের জন্যও বিশেষ বিবেচিত হয়।
মহুয়া গাছ থেকেও একটা স্ট্রিং পড়ে। আদিবাসীরা বীজ শুকিয়ে তেল বের করে। ডোরি বীজ থেকে আহরিত তেল খাদ্য ও ওষুধেও ব্যবহৃত হয়। হাতে-পায়ে ব্যথা হলে বনবাসী তেল দিয়ে মালিশ করে। ডোরি বীজ থেকে আহরিত তেল প্রদীপ জ্বালাতে ব্যবহৃত হয়।
গ্রীষ্মে মহুয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে বনে আগুন লাগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। আদিবাসীরা গাছের নিচে আগুন জ্বালিয়ে ফুল সংগ্রহ করে এবং তা না নিভিয়ে ফেলে। অনেক সময় আগুন ধীরে ধীরে বাতাসের দ্বারা গ্রাস করে এবং পুরো বনকে গ্রাস করে। প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বনজ সম্পদ হারিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতি ঠেকাতে বন বিভাগ সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালায়।
মহুয়া সংগ্রহের সময়, আদিবাসীরা বনে খায় এবং বিশ্রাম নেয়। সূর্য উঠার সাথে সাথে গাছ থেকে ফুল ঝরে পড়া কমে যায়। তাই গ্রামবাসীরা সকালে গাছের নিচে ফুল কুড়াতে যায়। মহুয়ার সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে জেলার অরণ্যে সর্বত্র।
No comments:
Post a Comment