কেন শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না রাজ্য সরকার?
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা, ১৬ ফেব্রুয়ারী : তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মহিলাদের ক্ষোভ বাড়ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছেন শেখ শাহজাহান কী করেছেন? এ বিষয়ে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য লজ্জাজনক। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক নারীদের বাড়ি থেকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তাহলে কেন টিএমসি নেতারা এমন বিবৃতি দিচ্ছেন, যা বার্তা দেয় যে রাজ্য সরকার শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় না?
বিশেষ বিষয় হল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার পরিবর্তে, সেই সব মহিলাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, যারা মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে এসে শেখ শাহজাহানের কালো কাজগুলো ফাঁস করে দিয়েছেন। মমতা বলেন, বিজেপি কর্মীরা মুখোশ পরে বিবৃতি দিচ্ছেন। সেখানে টার্গেট ছিলেন শেখ শাহজাহান। তাকেই প্রথম টার্গেট করেছিল ইডি। তারপর বিজেপি আদিবাসীদের জায়গায় নিজেদের লোক এনে সংঘাত বাড়িয়ে দেয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে চান সন্দেশখালিতে যা কিছু ঘটেছে এবং ঘটছে, তার পেছনে কোথাও না কোথাও বিজেপির হাত রয়েছে। কিন্তু এখানেও একটা প্রশ্ন আছে যে বিজেপি যদি ষড়যন্ত্রের কাজ করে তাহলে রাজ্য পুলিশ কী করছে?
প্রকৃতপক্ষে, শেখ শাহজাহান টিএমসি নেতা, তিনি ২০১৬ সালে দলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি টিএমসি নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে, শেখ শাহজাহান বসিরহাট আসন থেকে নুসরাত জাহানকে জয়ী করতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। বর্তমানে শেখ শাহজাহান তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। তার কাছে সন্দেশখালী ব্লক-১ এর দায়িত্ব রয়েছে। শেখ শাহজাহানও টিএমসির টিকিটে জেলা পরিষদের সদস্য।
শেখ শাহজাহান সম্পর্কে এই তথ্য জানাচ্ছেন কেন তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে অস্পষ্ট উত্তর দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা? বিজেপির অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেজাজ বাড়ছে কেন? বলা হচ্ছে, তৃণমূলে শেখ শাহজাহানের দখল রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে শেখ শাহজাহানের ভাল প্রভাব রয়েছে বলে জানা গেছে। এ কারণেই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পথে বাধা আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিজেপি বারবার প্রশ্ন তুলছে তৃণমূলের সঙ্গে শেখ শাহজাহানের এই সম্পর্ক নিয়ে।
No comments:
Post a Comment