সন্দেশখালি বিতর্কে টিএমসিকে আক্রমণ বিজেপির
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২৩ ফেব্রুয়ারী : সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যে উত্তেজনা এখনও বজায় রয়েছে। এছাড়া এ নিয়ে রাজনীতিও উত্তপ্ত হয়েছে। বিজেপি মহিলা মোর্চাকে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেত্রী লকেট চ্যাটার্জির বাকবিতণ্ডা হয়। তিনি বলেন, আমি একজন প্রতিনিধি এবং সেখানে যেতে পারি। রাজ্যে , যেখানে দেশের আধুনিক যুগের উৎপত্তি হয়েছিল, আজ মা-বোনেরা, করুণার প্রতীক, সন্দেশখালির মতো ইস্যুতে হাহাকার করছে।
তিনি বলেন, আজ বঙ্গ মহিলা মোর্চাকে থামানো হয়েছে, গতকাল আমাদের রাজ্য সভাপতিকে থামানো হয়েছে। ওই জায়গায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই বিষয়টিকে পেছনের বার্নারের মধ্যে রাখার জন্য সম্ভাব্য সব রকমের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধান আসামি শাহজাহান শেখ নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে আদালতের মন্তব্যের পরও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ সুরক্ষায় আছেন, তাকে কিভাবে গ্রেফতার করা যায়? রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এই ধরনের তৎপরতার চেষ্টা চলছে।
লকেট চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, রাজনীতিবিদরা বোঝা যায় কিন্তু নারী অধিকারের স্বার্থে স্বতঃস্ফূর্ত ব্যক্তিরাও মুখে দই নিয়ে বসে আছেন। বাংলায় সিরাজ-উদ-দৌলার শাসনামলে একইভাবে নারীদের অপহরণ করা হতো এবং আজও একইভাবে হচ্ছে।
একইসঙ্গে বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদীও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলার পুণ্যভূমি রাজ্যে বর্তমানে নির্যাতিত, শোকাহত ও ভাঙ্গা ও নৃশংসতায় ছেয়ে গেছে। দুঃখজনক যে সেখানকার সরকার সংবেদনশীল। সেখানে সরকার ১৪৪টি বাস্তবায়ন করেছে। মিডিয়াকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং FIR নথিভুক্ত করা হচ্ছে। বাংলার এসআইটি নির্যাতিতা মহিলাদের উপর চাপ দিচ্ছে। শাজাহান শেখ এখনো পলাতক। তিনি সুরক্ষা পেয়েছেন। TMC শুধুমাত্র এই ধরনের লোকদের দিয়ে তাদের ক্ষমতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তৃণমূল নেতারা এই বিষয়টিকে ছলনা বলছেন। নোয়াখালীতে যা হয়েছে তা আজ সন্দেশখালিতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, সন্দেশখালির ঘটনায় কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি বলেছেন, “বিজেপি রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে, তারাও এটাকে সিরিয়াস করছে। তবে রাজ্যে যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজ্য সরকার ঘুমিয়ে আছে। তারা এখনও ওই একজনকে (শাহজাহান শেখ) গ্রেপ্তার করতে পারেনি। শেখ শাহজাহাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments:
Post a Comment