শাহজাহান শেখকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে, বড় দাবি তৃণমূল নেতার
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২৬ ফেব্রুয়ারী : আগামী সাত দিনের মধ্যে সন্দেশখালী ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হবে। টিএমসি নেতা এবং দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সোমবার তার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। কুণাল ঘোষ লিখেছেন, 'শেখ শাহজাহানের গ্রেপ্তারের বিষয়ে অভিষেক ঠিকই বলেছেন। বিষয়টি আদালতে আইনি জটিলতায় আটকে যায়। বিরোধীরা রাজনীতি করছে। সাত দিনের মধ্যে শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হবে।
উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার পর শেখ শাহজাহান পলাতক। রেশন কেলেঙ্কারিতে তার বাড়ি তল্লাশির জন্য ইডি-র কর্তৃত্ব চাওয়া হয়েছিল। এ সময় তার ওপর হামলা হয়।
এদিকে এদিন কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে রাজ্য পুলিশ। রাজ্য পুলিশের তদন্তে আদালতের 'স্টে' নেই। এ বিষয়ে জনগণের তথ্য প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার মহেশতলায় এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “কেউ ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করবেন না যে তৃণমূল শেখ শাহজাহানকে রক্ষা করছে। কেউ যদি রক্ষা করে, সে বিচার বিভাগকে রক্ষা করে। বিচারিক স্থগিতাদেশ তুলে নিন এবং আপনি যদি তা করতে না পারেন তবে একই প্রশ্ন করুন। সন্দেশখালী মামলায় স্থগিতাদেশ নেই বলে আগেই জানিয়েছে আদালত। প্রকৃতপক্ষে এ মামলায় শাহজাহানকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেছেন, "এর মানে অভিষেক ব্যানার্জির কথা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়েছে।" এদিকে সিপিএমের বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আইনি বাধা নেই। আসলে তিনি শাহজাহানকে তার আশ্রয়ে পুলিশি নিরাপত্তায় রেখেছিলেন। এখন মানুষ প্রতিবাদের ফলে এসব কথা বলছে।
উত্তর ২৪ পরগনার একটি গ্রাম সন্দেশখালী লোকসভা নির্বাচনের আগে একটি বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে। অনেক নারী শাহজাহান ও তার সহযোগী শিবপ্রসাদ হাজরা এবং উত্তম সরদারের বিরুদ্ধে জমি দখল ও যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভও করেছেন।
অন্যদিকে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, সরকার ব্যবস্থা না নিলে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন। গভর্নর বলেছেন যে আমি সংবাদপত্র থেকে যা বুঝেছি তাতে ৮০০ টিরও বেশি পিটিশন এসেছে। প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, নারীরা এগিয়ে এসেছে, তারা সোচ্চার প্রতিবাদ শুরু করেছে। এখন পরিবর্তন হবে।
সিভি বোস বলেছিলেন, “জেনারেলরা যুদ্ধ করতে পারে না, তারা অন্যদের লড়াই করে। গভর্নরের কাজ হল নির্বাচিত সরকার আইন অনুযায়ী কাজ করে তা দেখা। তা না হলে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করবেন।”
No comments:
Post a Comment